মানবাধিকার সংগঠনের নামে বরিশালে তাঁরা কাজটা কি করে? Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




মানবাধিকার সংগঠনের নামে বরিশালে তাঁরা কাজটা কি করে?

মানবাধিকার সংগঠনের নামে বরিশালে তাঁরা কাজটা কি করে?




অনলাইন ডেস্ক//
মানববন্ধন, সভা সমাবেশে যে পুলিশকে সমালোচনা করে বক্তৃতার ফুলঝুঁড়ি শোনা গেছে, শেষ পর্যন্ত সেই পুলিশই নির্যাতিতা শিশু লামিয়ার পাশে দাঁড়ালো। শিশু গৃহকর্মী নির্যাতিতা লামিয়াকে মুমূর্ষ অবস্থায় বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। তাকে সেবা দিচ্ছে, খাওয়া দাওয়া ও শ্রুর্শষাসহ দিচ্ছে এই পুলিশই। নির্যাতিতা শিশু লামিয়ার ন্যায় বিচার নিশ্চিতে পুলিশই বাদী হয়ে মামলা করেছে।

বরিশালের কোন শিশু সংগঠন , মহিলা পরিষদসহ নারী সংগঠন ফাঁকা বুলি আওড়ানো এনজিওগুলো, এমনকি মানবতার নামাবলি গায়ে পড়া মানবাধিকার জোটসহ কোন মানবাধিকার সংগঠন লামিয়ার পাশে দাঁড়ায়নি। লামিয়ার নির্যাতনের খবর প্রচারের পরেও এদের নীরবতায় সচেতন বিবেক ধিক্কার জানিয়েছে। বরিশাল নগরীতে শিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস গুলোতে সদর রোডে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কিংবা বিভিন্ন সভা সেমিনারে যাদের বক্তৃতা দিতে দিতে মুখে ফেনা ওঠে তারা হলেন এই নগরীর বহু চেনা মুখ। এসংক্রান্ত এমন কোন মানববন্ধন বা সেমিনার নেই যেখানে এদের দেখা যায়না।

অবশ্য ফটো সাংবাদিকদের ছবি তোলার কাজটি শেষ হওয়া মাত্রই তারা আস্তে আস্তে ছটকে পড়তে শুরু করেন। অর্থের বরাদ্দ মিললে এদেরকে দিনাজপুর, কিশোরগঞ্জ কিংবা রাঙ্গামাটিতে নারী কিংবা শিশু নির্যাতন হলে রাস্তায় নামতে দেখা যায়। দিতে দেখা যায় স্মারকলিপি। এক প্যাকেট বিরিয়ানীর গন্ধ পেলে এদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক গোল টেবিল বৈঠক, মতবিনিময় সভা, সেমিনার কিংবা আলোচনা সভায় রীতিমত ঝিমুতে দেখা গেছে। অথচ নির্যাতনে ক্ষত-বিক্ষত শিশু লামিয়াকে দেখতে এরা কেউ হাসপাতালে যায়নি।

নির্যাতনকারী দম্পতি

দুপুরে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু সার্জারী ওয়ার্ডে লামিয়া যখন ব্যথায় কাতরাচ্ছিল তখন তার পাশে বসে সেবা করছিল শাহনাজ আক্তারসহ দুই পুলিশ কনস্টেবল। পুলিশ কমিশনার মোশারেফ হোসেনের নির্দেশে হাসপাতালে গিয়ে লামিয়ার চিকিৎসা, খাবার এবং ওষুধের সবকিছু মনিটরিং করছিলেন সিটি ডিবির সহকারী কমিশনার নাসির উদ্দিন মল্লিক, ইন্সপেক্টর মাহাবুব-উল আলমসহ ডিবি পুলিশের সদস্যরা। অথচ মানবতা নামধারী ওরা কেউ আসেনি। এমনকি কথায় কথায় মানববন্ধন আহবানকারী এবং শিশুদের নিয়ে অংশগ্রহনকারী সদ্যকার এক নেত্রীকেও এব্যাপারে নীরব থাকতে দেখা গেছে।

শুধু লামিয়া নয়, এর আগে নগরীর বাজার রোডে নির্যাতিতা শিশু আসফিয়া ও আয়েশার ব্যাপারে একই ঘটনা ঘটেছিল। এব্যাপারে সচেততন বিবেকের কাছে প্রশ্ন একটাই, ওরা আসলে নারী ও শিশু সংগঠন এনজিও, মানবাধিকার সংগঠনের নামে কাজটা কি করে?সুত্র মতবাদ

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD