রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগ সংস্থা এনগ্রো হোল্ডিংস বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ও জ্বালানি খাতে ব্যবসার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবদুল সামাদ দাউদ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে এনগ্রো সিইও জানান, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের সম্ভাবনা নিয়ে তারা অত্যন্ত আশাবাদী। পাশাপাশি দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ভোলা থেকে গ্যাস বিতরণ এবং জ্বালানি অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ধরনের সহযোগিতার সুযোগ দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। “আমরা বাংলাদেশের শিল্প প্রবৃদ্ধি ও গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চাই, যেখানে ভবিষ্যতের বড় প্রতিশ্রুতি রয়েছে,” বলেন আবদুল সামাদ দাউদ।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এনগ্রো হোল্ডিংসের এই আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “টেকসই ও দূরদর্শী সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করতে পারি। আমাদের উচিত দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দেওয়া, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।”
এনগ্রো সিইও আরও বলেন, “বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত চার দিনব্যাপী সম্মেলনে অংশগ্রহণ ছিল দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। সম্মেলনটি ছিল মানবিক, আন্তরিক এবং উদ্দেশ্যনির্ভর। এক ছাদের নিচে এতগুলো শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির উপস্থিতি ও প্রতিনিধিত্ব দেখে আমরা অভিভূত হয়েছি।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এনগ্রো হোল্ডিংসের প্রতিনিধি দলকে আবারও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদের নয়, বরং গোটা বিশ্বকে অনেক কিছু দিতে সক্ষম। আমাদের রয়েছে মানবসম্পদ, সম্ভাবনাময় বাজার এবং দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতি।”
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান সচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা ছাড়াও বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব ও টেকসই ব্যবসার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে চলা এনগ্রো হোল্ডিংস বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে আগ্রহী। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই কৃষি, জ্বালানি ও পেট্রোকেমিক্যালসহ বিভিন্ন খাতে আন্তর্জাতিকভাবে বিনিয়োগ করে আসছে। টেলিযোগাযোগ ও গ্যাস খাতে বাংলাদেশে তাদের সম্ভাব্য প্রবেশ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Leave a Reply