বাসর রাতেই আসছি বলে বের হলেন বর, পরদিন বিকালে দ্বিখন্ডিত লাশ Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বাসর রাতেই আসছি বলে বের হলেন বর, পরদিন বিকালে দ্বিখন্ডিত লাশ

বাসর রাতেই আসছি বলে বের হলেন বর, পরদিন বিকালে দ্বিখন্ডিত লাশ

বাসর রাতেই আসছি বলে বের হলেন বর, পরদিন বিকালে দ্বিখন্ডিত লাশ




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বাসর রাতেই আসছি বলে ঘর থেকে বের হয়ে আর আসেননি বর। পরদিন বিকালে তাঁর দ্বিখন্ডিত লাশ পাওয়া গেল পাশের গফরগাঁও রেল স্টেশনে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত বর নান্দাইল উপজেলার বীরখামটখালি গ্রামের মো. সাজ্জাত মিয়ার ছেলে মেহদি হাসান খান (২২)। তিনি টঙ্গীতে ন্যাশলাল ফ্যান কম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। পারিবারিক সিদ্ধান্তে গত রবিবার পাশের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের রাম গোপাল বাড়ি গ্রামের মো. হালিমের মেয়ে রোকসানা আক্তারকে (২০) বিয়ে করে বাড়ি আনেন।

 

 

বাসর রাতের কোনো এক সময় বর মেহদি হাসান কনেকে আসছি বলে ঘরের বাইরে যায়। পরে রাতভর আর ফিরে আসেনি। ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জেনে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়ে সন্ধান পায়নি। একপর্যায়ে মেহদির মোবাইল নম্বরে ফোন পান মা মাজেদা খাতুন। ছেলের প্রশ্ন ‘এ কেমন বিয়ে করালি মা। তবু আমি ফিরে আসবো।’ এই কথা বলেই ফোনের লাইন কেটে দেয় মেহদি।

 

 

মা মাজেদা বলেন, আমি তো জানতাম না এই কথাই আমার ছেলের শেষ কথা। বারবার চেষ্টা করেও আর মোবাইল ফোন ধরেনি ছেলে। ঘণ্টা খানেক পর তাঁর নম্বর দিয়ে বলা হয়, আসে এটা কার নাম্বার? তিনি রেললাইনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। লাশ নিয়ে যান।

 

 

বুধবার নিহত মেহদির বাড়িতে গেলে দেখা যায়, এ ধরণের মৃত্যুতে কেউ মেনে নিতে পারছেন না। সবার প্রশ্ন কি হয়েছিল মেহদির? যার জন্য আত্মহত্যা করেছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, মেহদি এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না। পরিবারের চাপের মুখে পড়ে বিয়ে করতে বাধ্য হন। এ ধরণের সত্যতাও পাওয়া গেছে কনে রোকসানার বক্তব্যে। তিনি বলেন, বাসর রাতে বিছানায় না উঠেই তার সাথে বাজে আচরণ শুরু করেন বর। অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে (বর) আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে তিনি (বর) বলেন, আমাকে উনার পছন্দ হয়নি। এই বলে ঘর থেকে বের হয়ে যান। রোকসানা বলেন, আমার এখন কি হবে। আমার কি দোষ। আমি তো সংসার করতে চেয়েছিলাম। এই বলে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD