রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৬ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সাধারণত বাবা কিংবা মা মারা গেলে সন্তানের শোক কাটতে কিছুদিন সময় লাগে। শোকে অনেক সন্তান নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু বাবাকে দাফনের কয়েক ঘণ্টা পর বন্ধুদের নিয়ে পার্টি দেন ছেলে। তাও আবার ফেনিসিডিল খাওয়ার।
এমনই এক আজব ঘটনা ঘটল নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে। তবে ফেনিসিডিল খাওয়ার সময় আটক হয়েছেন ফিরোজুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন আরো পাঁচ বন্ধু। শনিবার তাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটকরা হলেন- জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুল গনির ছেলে ফিরোজুল ইসলাম, জলঢাকা কলেজপাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ইসলাম, জলঢাকা আইডিয়াল কলেজের প্রভাষক ও ডিমলা থানার ডালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার বদরুল আলমের ছেলে জিয়াউর রহমান, রংপুর জজকোর্টের ডেসপাস সহকারী সিজেএম ও তাজহাট থানার আলহাজনগর গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রংপুর রবাটসনগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ও তাজহাট থানার আশরতপুর ঈদগাঁপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে আমিনুল হক ও রংপুর সদর থানার সদ্য পুষকুরুনী পালিচড়া গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে ব্যবসায়ী সেলিম রেজা।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার দুপুরে জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুল গনিকে নিজ গ্রাম গাবরোলে দাফন করা হয়। বিকেলে তার ছেলে ফিরোজুল ইসলাম বন্ধুদের সঙ্গে প্রাইভেটকারে ফেনসিডিল খাওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জের পুটিমারী ইউনিয়নের কাউয়ার মোড়ে যান। মাদক ব্যবসায়ী মবু ডাকাত ওই প্রাইভেটকারের ভেতরে দুই বোতল ফেনসিডিল দেন। এরপর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন তিনি। এ সময় পুলিশ প্রাইভেটকারটি তল্লাশি চালিয়ে ফেনসিডিলসহ ছয় বন্ধুকে আটক করে।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুল হক জানান, এ ঘটনায় ওই মাদক ব্যবসায়ীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply