বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশালের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভুল অপারেশনের শিকার মো. মানিক মিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মানিক কোতয়ালী থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎকের বিচার দাবি করেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার।ভুল চিকিৎসার শিকার ওই ব্যক্তির নাম মো. মানিক মিয়া (৪৪)।
তিনি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকার বাসিন্দা এবং ঢাকায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানে মেকানিক্যাল ফিডার হিসেবে কর্মরত।মো. মানিক মিয়া জানান, পুরুষাঙ্গের গোরালীতে সমস্যা নিয়ে গত ২২ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. এমএস রহমান সুমনকে দেখান তিনি।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডা. এমএস রহমান সুমন ওই রোগীকে জানান তার বাম পাশে হার্নিয়া হয়েছে। ব্যবস্থাপত্রেও তিনি তার বাম পাশে হার্নিয়ার কথা উল্লেখ করেন। গত ১৭ ডিসেম্বর চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. এমএস রহমান সুমনের তত্ত্বাবধানে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে সার্জন ডা. এমএস রহমান সুমন রোগী মানিকের হার্নিয়া অপারেশন করেন।
পরদিন সকালে জ্ঞান ফেরার পর রোগী বুঝতে পারেন তার পুরুষাঙ্গের ডান পাশে অপারেশন করা হয়েছে। অথচ অপারেশন করার কথা ছিলো বাম পাশে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা অপারেশন সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়।
সময় এবং অর্থ খরচ করেও সু-চিকিৎসা না পেয়ে এখন তিনি হতাশ। এ ঘটনার বিচার চেয়ে সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে কোতয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী মানিক মিয়া।আর যাতে কেউ এভাবে ভুল চিকিৎসার শিকার না হয় সে জন্য অভিযুক্ত চিকিৎসকের দৃস্টান্তমূলক বিচার চেয়েছেন মানিকের ভাই হানিফ মিয়া।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার চেস্টা করা হলেও অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. এমএস রহমান সুমনকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে পাওয়া যায়নি।রোগীর ভুল অপারেশনের কথা স্বীকার করেছেন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. মো. ইশতিয়াক হোসেন।
তিনি বলেন, রোগীকে বিনা খরচে তার বাম পাশের হার্নিয়া অপারেশন করে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
একই সাথে অভিযুক্ত চিকিৎসককে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের অপারেশন কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।এ
দিকে রোগীর ভূল চিকিৎসার অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
Leave a Reply