মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ নগরীর রূপাতলীতে ধর্ষণ ও ঘর ভাংচুর মামলার আসামী রফিক ও তার শ্যালক শাহিনের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেপরোয়া রফিক একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে তার শ্যালক ও তার দলবল নিয়ে। এমনকি রফিকের হাত থেকে ৫ বছরের মেয়েটিও রেহাই পায়নি। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় নগরীর ২০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি ও সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ হারুর হাওলাদারের স্ত্রী শিউলি বেগম (৪০) কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে মামলার আসামী পক্ষ।
আহত শিউলিকে মুমূর্ষ অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতের পরিবার ও পূর্বের মামলা সূত্রে জানা যায়, নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ হারুন হাওলাদারের মেয়ে ও জুয়েল হাওলাদারের স্ত্রী নারগিস বেগম (২৩) তার মেয়ে জাহারা (৫) কে নিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধা সাড়ে ৬ টায় ওই এলাকার বাসিন্দা মো: রফিক হাওলাদারের বাড়ি যায়। এসময় রফিকের স্ত্রী ও মেয়েদের সাথে কথা বলে সময় কাটায় নারগিস। সে সময় রফিক নারগিসের মেয়ে জাহারাকে নদীতে মাছ দেখানোর কথা বলে নদীর পাড়ে একটি বাশ ঝাড়ের নিয়ে যায়। সেখানে বসে জাহারাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায় । সে সময় শিশুটির কান্নাকাটি দেখে ভয় পেয়ে পুনরায় তার বাড়ি নিয়ে আসে। এ সময় জাহারা তার মায়ের কাছে ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি বিস্তারিত বলে।
এরপর জাহারাকে তার পরিবার ১৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে । এবং নারগিস বাদী হয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ২৮। এ ঘটনায় বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং ঘড় ভাংচুর করে বিবাদী পক্ষ। এ ঘটনায় নারগিসের বাবা কোতয়ালী থানায় রফিক হাওলাদার ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম, ও তাদের পুত্র রমজান এবং শ্যালক শাহিনের ও তার স্ত্রী শেফালীর নামে একটি জিডি করে, জিডি নং ১১২৯। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওৎপেতে থেকে রফিক, রমজান, শাহিন ও শেফালীসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন মিলে বাদীর স্ত্রী বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি শিউলি বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।
এ হামলায় শিউলির মাথায় গুরুতর জখম হয়। শিউলি প্রাণে বেঁচে গেলেও তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। বর্তমানে শেবাচিম হাসপাতালের মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। আহতের পরিবার জানায়, ব্যাংক একাউণ্ট করার উদ্দেশ্যে ১০,৩০০/ টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হলে ফরাজী বাড়ির পূর্ব পাশের রাস্তায় বসে হামলা করে টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগদ পত্র নিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা।
এমন কি প্রতিক্ষরা বাদী পক্ষের প্রতি দোষারোপ করার জন্য নিজেদের মাথায় কেটে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় কোতয়ালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে হারুন হাওলাদার জানান।
Leave a Reply