বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় যৌতুকের জন্য মুক্তি রানী বৈদ্য (১৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠছে। সোমবার রাতে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই মুক্তির স্বামী মিঠুন, তার শশুর খোকন ও শাশুড়ি রীনা সমদ্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মুক্তির বাবা সুমন বৈদ্য অভিযোগ করেন, যৌতুকের জন সোমবার রাতে তার মেয়ে মুক্তিকে মারধর করে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে তার মেয়ে জামাতা মিঠুন, তার বাবা খোকন ও মা রীনা সমদ্দার। হত্যার পর মুক্তির লাশ একটি গামছা দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে পরে নামিয়ে ফেলে। লোকমুখে খবর পেয়ে বিষয়টি থানাকে জানালে পুলিশের এসআই শাজাহান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। রাতেই তার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে থানায় নিয়ে আসেন।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. আফজাল হাসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের থানেশ্বরকাঠী গ্রামের সুমন বৈদ্য’র মেয়ে মুক্তি রানী বৈদ্য (১৮) এর সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে পার্শ্ববর্তী রত্নপুর গ্রামের খোকন সমদ্দারের ছেলে মিঠুন সমদ্দারের ১০ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মুক্তি শ্বশুরবাড়িতেই অবস্থান করে আসছিল।
ওসি বলেন, স্বামী মিঠুনের বাবা-মা মুক্তিকে মেনে নিতে না পারায় বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই পুত্রবধূর কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিলো। মুক্তির দিনমজুর বাবার পক্ষে যৌতুকের দাবিকৃত টাকা প্রদানে অক্ষম হওয়ায় প্রায়ই মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো স্বামী মিঠুন, শ্বশুর খোকন ও শাশুড়ি রীনা সমদ্দার। এর জের ধরে নির্যাতনে মুক্তির মৃত্যু হতে পারে বলে ওসি আফজান জানান।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মুক্তির বাবা সুমন বৈদ্য বাদী হয়ে মঙ্গলবার মেয়ে জামাতা মিঠুন, তার বাবা খোকন ও মা রীনা সমদ্দারকে অভিযুক্ত করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত মুক্তির লাশ পোষ্ট মর্টেমের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাবা, মা ও ছেলেকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply