বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল করোনা সন্দেহে মহাশ্মশানে মরদেহ সৎকারে বাধার অভিযোগ পাওয়া গেছে শ্মশান কমিটির বিরুদ্ধে । শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরে শ্মশান থেকে মরদেহসহ তাদের স্বজনদের বাইরে বের করে দেয়া হয়। মহাশ্মশান কমিটির অভিযোগ মৃত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন।
বরিশাল নরসুন্দর কল্যাণ ইউনিয়নের সভাপতি নির্মলচন্দ্র বলেন, নগরীর চাঁদমারি খেয়াঘাট এলাকায় নিখিল হেয়ার ড্রেসারের মালিক নিতাইচন্দ্র শীল (৫৪) বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শনিবার সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হলে ধর্মীয় রীতি-নীতি শেষে দাহ কাজ অর্থাৎ সৎকার সম্পন্ন করতে বরিশাল মহাশ্মশানে নেয়া হয়।
তবে নানা অযুহাতে শ্মশান থেকে মৃতদেহসহ তাদের স্বজনদের বের করে দেয়া হয়। পরে শ্মশান কমিটি মেডিকেল সার্টিফিকেট চাইলে তা এনে দেখানো হয়। পরে তারা জানায় সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা না হলে সৎকার কাজ এখানে হবে না।
একবার তারা ভোটার আইডি দেখতে চায় আবার কিছুক্ষণ পর কাউন্সিলরের সনদপত্র দেখতে চায়। সেগুলোও আনা হয়।
কিন্তু বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বৃষ্টির মধ্যে মৃতদেহসহ স্বজনদের শ্মশানের বাইরে অমানবিকভাবে দাঁড় করিয়ে রাখে শ্মশান কমিটি।
এখন এখানে দেহ দাহ সম্পন্ন হবে কিনা সে বিষয়েও নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মুখার্জী কুণ্ডু বলেন, বিকাল ৪টার দিকে মৃতদেহটি শ্মশানে আসে। যিনি মারা গেছেন তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন।
তাই নিয়ম-কানুন মেনে আমরা মৃতদেহ সৎকার করব। এ ছাড়া শ্মশানে একটি মৃতদেহ সৎকারের কাজ চলছে তাই তাদের বাইরে থাকতে বলা হয়েছে। অন্যদের কাজ শেষ হলে তারা ডিসি, সিটি কর্পোরেশন ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সৎকার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
মহাশ্মশানে দাহ করার স্থান তিনটি রয়েছে তবুও কেন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে মানিক মুখার্জী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তাই আমরাও আতংকিত।
বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু জানান, আমরা বিষয়টি শুনে সঙ্গে সঙ্গে মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা মূলত আতংকিত ছিল। বিষয়টি সমাধান করা হচ্ছে।
Leave a Reply