সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥
বরিশালের আলোচিত জাগুয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুল আলমকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হোতা সেই মো: রাইভিউল আলম স্বপন ফের স্বরূপে পুরো নগরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অর্থ বিত্ত.,পেশী শক্তি আর ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই স্বপন যতো অপকর্মই করুক না কেন একের পর এক পাড় পেয়ে যাচ্ছেন। কোন শক্তিই তার লাগাম টেনে ধরতে পারছে না। সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্যকে পরিণত করার ধুরন্ধর প্রকৃতির স্বপন। বরিশাল অপরাধ জগতের সাথে স্বপনের রয়েছে কানেকশন, কিন্তু তিনি থাকের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কারণ তিনি ভদ্রবেশি শয়তান। এসব অভিযোগ স্থানীয় শান্তিপ্রিয় অসংখ্য নারী পুরুষের। বিস্ময়কর হলেও সত্য অপরাধের স্বর্গরাজ্যে গড়ে তুলে অগাধ বিত্ত বৈভবের মালিক বনে গেলেও তিনি সর্বদাই অদৃশ্য শক্তিতেই থাকছেন বহাল তবিয়তে।
তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কৌশলে তাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয় প্রতিবাদকারীকে। কখনো প্রাণে শেষ, কখনো প্রতিবাদকারীর উপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। আবার কখনো সাজানো ফাঁদে ফাঁসিয়ে দিতে বেশ পারঙ্গম মো: রাইভিউল আলম স্বপন। সচতুর স্বপনের ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্যায় অপকর্মের পাহাড় ঢাকা পড়ে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে-১৯৯২ সনে জাগুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুল আলমকে প্রকাশ্যে দিবালোকে খুন করা হয়। এই খুনের হোতা ছিলেন মো: রাইভিউল আলম স্বপন। যার সেশন মামলা নং ২২/৯৫।এছাড়া রূপাতলী এলাকার কামাল দুরানী ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ব্যবসা করতে গেলে সেখানে বাঁধা হয়ে দাড়ায় মো: রাইভিউল আলম স্বপন। এরপর দিনে দুপুরে অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কামাল দুরানীকে পিটিয়ে তাার পা দুমড়ে মুছড়ে ভেঙ্গে ফেলে। যার ফলে কামাল দুানী পঙ্গুত্বভাবে জীবনযাপন করছেন।
এ প্রসঙ্গে কামাল দুরানী স্বপন গংগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার জিআর মামলা নং ৬৪১/২০১৮। এরবাইরে সরকারী হোতাখাল, যা ২৪ নং ওয়ার্ডে তার বাড়ির সামনে অবস্থিত। সেখানে চার তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। বিগত যৌথ বাহিনীর সময়ে তিনি গ্রেফতারও হন। এই মো: রাইভিউল আলম স্বপনের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। অন্তহীন অভিযোগ নিয়ে দাপিয়ে বেড়ালেও কেউ মুখ খুলকে পারছে না। কারণ তার হাত বড়ই লম্বা। সব কিছুই তিনি টাকায় ম্যানেজ করে। সাম্প্রতিক সময়ে ভুক্তভোগী সহ এলাকার সচেতন মহল স্বপনের নানাবিধ অপকর্মের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তার অপকর্মের ফিরিস্তিতে যেনো গা শিউড়ে উঠে। স্থানীয়রা বলছেন-মো: রাইভিউল আলম স্বপন একজন মুখোশ পরিহিত ভদ্রলোক। এদিকে এসব প্রসঙ্গে মো: রাইভিউল আলম স্বপন বলেন- ১৯৯২ সালে জাগুয়া ইউপি চেয়ারম্যান খুনের মামলায় আসামী ছিলাম। তবে সেই মামলা থেকে খালাস পেয়েছি। এছাড়া কামাল দুরানীর দায়েরকৃত মামলাটি চলমান রয়েছে। তিনি বলেন- স্থানীয় এক মহল আমার সুনাম ক্ষুন্নে পিছু লেগেছে।
Leave a Reply