সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
থানা প্রতিনিধি॥ ইন্দুরকানীতে মেয়ে সংক্রান্ত ঘটনায় তিন জনকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। আহতর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ৯ ডিসেম্ব বুধবার উপজেলার নব-গঠিত চন্ডিপুর ইউনিয়নের খোলপটুয়া গ্রামের খোকন শরীফের ভাগ্নি খুলনা থেকে বেড়াতে আসলে স্থানীয় মোহাম্মদ মোস্তফা হাওলাদার (৪৫),নাসির হাওলাদার(৩৫),সোলাইমান হাওলাদার(২৫), আব্দুল মালেক(২৪), জাকারিয়া(২৫), এমদাদুল আহাম্মদ, এনামুল মোঃ মানজারুল সহ আরো কয়েকজন মিলে মেয়েটির মামাদের উপরে সশস্ত্র হামলা চালায়।
তারা তাদের দলবল নিয়ে মেয়েটিকে অপহরণের চেষ্টা করে। মেয়ের মামারা অপহরণে বাধা দিলে মোস্তফা হাওলাদার,নাসির হাওলাদার সালাইমান হাওলাদার, আব্দুল মালেক, জাকারিয়া, এমদাদুল আহাম্মদ, এনামুল মোঃ মানজারুল সহ আরো কয়েকজন মিলে মেয়েটির মামাদের উপরে সশস্ত্র হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্রসহ হাতুড়ি রড লাঠিসোটা নিয়ে তাদেরকে মারধর করে বলে জানাগেছে। গুরুতর আহতরা হলেন মোহাম্মদ জাকির শরীফ(৪০), জাহাঙ্গীর শরীফ(৫০), লিটন শরীফ(২৮), উভয়ের বাবা হাসেম আলী শরীফ। বিভিন্ন স্থানে জখম.মাথায়কোপ সহ বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।আহতরা পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্য রত ডাক্তার জানান উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে খুলনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠতে হতে পারে। এদের মধ্যে দুইজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।এলাকাবাসী ভাষ্যমতে মোস্তফা গং স্থানীয়ভাবে সব সময় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। লোকজনদেরকে চাঁদা দাবি করে মারধর করে।
পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইটের ভাটায় তারা সর্বদা চাঁদাবাজি অব্যাহত রাখে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারা ভয়ে মুখ খেলেন না।পাশের কয়েকটি ইটের ভাটার মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ভয়ে সব সময় আতঙ্কিত থাকেন তারা। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলছেন এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য তারা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
স্থানীয়রা ভয়ে কেউ নাম পরিচয় দিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন। তাদের আতঙ্কে অনেকেই কথা বলতে চান না। ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ঘটনার পরপরই দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন।এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্দুরকানী থানা অফিসার ইনর্চাজ হুমায়ুন কবির বলেন আমরা ঘটনার পরে দুইজনকে আটক করেছি।বাদির অভিযোগ পেলে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply