সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ পিরোজপুর সদর উপজেলার উমেদপুর খালের ৪টি লোহার সেতু ভেঙে যাওয়ায় ১৩ গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দাকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাঙা সেতুর জায়গায় বাঁশ ও সুপারিগাছ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে পারাপার হচ্ছেন স্থানীয়লোকজন। কিন্তু সাঁকো দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারায় সেগুলোকে অনেক পথ ঘুরে গ্রামে পৌঁছাতে হচ্ছে।
জানা যায়, সদর উপজেলার বাদুরা দারুল উমুল খাদেমুল ইসলাম কওমি মাদ্রাসা, দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এ কে এম এ আউয়াল ফাউন্ডেশন, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ি ও দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়ায় উমেদপুর খালের শাখা আফাজ উদ্দিন খালের সেতু ভেঙে গেছে।
সম্প্রতি এসব এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুর আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা সাঁকো দিয়ে খাল পাড়ি দিয়ে হাটবাজার ও কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন। স্থানীয় লোকজন জানান, এসব সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে বাদুরা, বাইনখালী, বাদোখালী, উত্তর গাজীপুর, দক্ষিণ গাজীপুর, হরিণা গাজীপুর, কালীকাঠিসহ অন্তত ১৩ গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে উমেদপুর খালের শাখাখাল বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আফাজ উদ্দিন খালের ওপর ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের লোহার সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে সেতুর উত্তর প্রান্তের একাংশ ভেঙে যায়। এরপর থেকে সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন স্থানীয়রা। ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে হঠাৎ করে দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এ কে এম এ আউয়াল ফাউন্ডেশন–সংলগ্ন লোহার সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে।
বাদুরা গ্রামের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, দুই বছর আগে দারুল উমুল খাদেমুল ইসলাম কওমি মাদ্রাসাসংলগ্ন এলাকার সেতু ভেঙে যায়। পরে সেতুর পাশে সাঁকো তৈরি করে সাতটি গ্রামের মানুষ চলাচল করছেন। আর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, হাওলাদার বাড়ির সামনের সেতুটি গত ১১ আগস্ট একটি ট্রলারের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে। এরপর কিছুদিন স্থানীয় গ্রামবাসী দুটি ডিঙি নৌকায় খাল পাড়ি দিয়ে চলাচল করছেন। সম্প্রতি সেখানে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পিরোজপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সুশান্ত রঞ্জন রায় বলেন, ভেঙে যাওয়া লোহার সেতুগুলো নতুন করে তৈরির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হচ্ছে। এরই মধ্যে আফাজ উদ্দিন খালের সেতুর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাকিগুলো নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।
সূত্র: প্রথম আলো
Leave a Reply