সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ চলমান টানটান উত্তেজনার মাঝে অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ—ভারত ও পাকিস্তান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শনিবার রাতে এই সমঝোতা হয়। তিনি নিজেই ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এই ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প লেখেন, “দীর্ঘ রাতব্যাপী আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত ও পাকিস্তান সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।”
সিএনএনের সাংবাদিক নিক রবার্টসনের বরাতে জানা গেছে, পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণের মুখে ভারত যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা চায়। তিনি বলেন, “ভারত যখন পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়, তখন পাকিস্তান প্রবলভাবে প্রতিরোধ করে। মিসাইল ও রকেট হামলায় ভারতের সামরিক অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
৭ মে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের হামলায় ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এর জবাবে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে, যার মধ্যে তিনটি ছিল রাফাল, এবং আরও ডজনখানেক ড্রোন ধ্বংস করে।
শুক্রবার রাতে ভারত মিসাইল হামলা চালায় পাকিস্তানের নূর খান, মুরিদ ও শরকোট বিমানঘাঁটিতে। জবাবে পাকিস্তান শনিবার সকালে ‘অপারেশন বুনয়া নুম মারসূস’ চালিয়ে উত্তর ভারতের একাধিক সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, পাকিস্তান শুরুতে কেবল ‘সামরিক বিরতি’ মেনে নিলেও ভারতের আগ্রাসী হামলার পর পূর্ণ প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়। ভারত তখন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও তুরস্কের মাধ্যমে মধ্যস্থতা চায়।
যদিও পানির অধিকার নিয়ে পাকিস্তানের উদ্বেগ থেকে যাচ্ছে, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই পক্ষই যুদ্ধ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি দক্ষিণ এশিয়ার ভঙ্গুর শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতে আরও কূটনৈতিক আলোচনার পথ উন্মুক্ত করবে।
Leave a Reply