পরকীয়ায় বাধাদানকারীকে হত্যা করে আসামি হলেন বরগুনার চেয়ারম্যান Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




পরকীয়ায় বাধাদানকারীকে হত্যা করে আসামি হলেন বরগুনার চেয়ারম্যান

পরকীয়ায় বাধাদানকারীকে হত্যা করে আসামি হলেন বরগুনার চেয়ারম্যান

পরকীয়ায় বাধাদানকারীকে হত্যা করে আসামি হলেন বরগুনার চেয়ারম্যান




বরগুনা প্রতিনিধি॥ চেয়ারম্যানের পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা মামলায় বাদীর নারাজি মঞ্জুর করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম এ আদেশ দিয়েছেন।

 

 

মামলার বাদী রাশেদা বেগম ২০১৮ সালের ১৫ আগস্ট বরগুনা থানায় বরগুনা সদর ইউনিয়নের আবদুর রব মিয়ার ছেলে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগসহ ১২ জনকে আসামি করে অভিযোগ করেন। বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন, গোলাম আহাদ সোহাগ চেয়ারম্যান থাকাকালে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বাদীর ছেলে আল আমীন দেখতে পেয়ে বাধা দেন। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ ও তার লোকজন নিয়ে আল আমীনকে খুন করার পরিকল্পনা করে।

 

 

পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ আগস্ট আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার চালিতাতলী পাকা সড়কের দক্ষিণে হেউলিবুনিয়া ব্রিজের পাশে সোহাগ চেয়ারম্যানের নির্দেশে আল আমীনকে বাদীর বাসা থেকে চেয়ারম্যানের লোক জাহাঙ্গীর ডেকে নেয়। প্রথমে জাহাঙ্গীর আল আমীনের চোখে মরিচের গুঁড়ো দেয়। পরে অন্যরা রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে আল আমীনের পায়ের হাড় গুঁড়ো করে দেয়। আসামি মিজান, মাসুদ, জাহাঙ্গীর, মনির, রাবেয়া ও সেলিম মুন্সি আল আমীনের দুটি চোখ ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। আল আমীনের মা রাশেদা বেগম তার ছেলের ডাক-চিৎকার শুনে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। আল আমীনের অবস্থা গুরুতর হলে বরিশালে প্রেরণ করা হয়। পরের দিন ১৩ আগস্ট বেলা আড়াইটার সময় আল আমীন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

 

 

পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বাদী অভিযোগের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করলে আদালত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ হোসেনের ওপর তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। জুডিশিয়াল প্রতিবেদনে গোলাম আহাদ সোহাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

 

 

বাদী জুডিশিয়াল রিপোর্টের বিরুদ্ধে আবারো নারাজি দিলে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার নারাজি মঞ্জুর করে সোহাগের বিরুদ্ধে হত্যার অপরাধ আমলে নিয়েছেন।

 

 

বাদী রাশেদা বেগমের আইনজীবী আবদুল মোতালেব মিয়া বলেন, ঘটনার সময় সোহাগ বরগুনা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। এখন চেয়ারম্যান নেই। সোহাগ ইতোমধ্যে জামিনে ছিলেন। দুইবার ফাইনাল দেওয়ার পর বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম সার্বিক বিবেচনায় সোহাগের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আমলে নিয়েছেন।

 

 

সোহাগ অন্য একটি মামলায় বরগুনা কারাগারে থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD