নুসরাত হত্যায় মুল পরিকল্পনায় ছিল রানা-মামুন Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




নুসরাত হত্যায় মুল পরিকল্পনায় ছিল রানা-মামুন

নুসরাত হত্যায় মুল পরিকল্পনায় ছিল রানা-মামুন




অনলাইন ডেস্ক : ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে ইফতেখার হোসেন রানা ও এমরান হোসেন মামুন নামে দুইজন।সোমবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল জানান, ইফতেখার হোসেন রানা ও এমরান হোসেন মামুন নুসরাত হত্যার মুল পরিকল্পনায় ছিল বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

জবানবন্দিতে ইফতেখার হোসেন রানা ও এমরান হোসেন মামুন জানায়, নুসরাতকে হত্যার পরিকল্পনায় ৪ এপ্রিল হাফেজ আবদুল কাদেরের কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় তারা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার দিন মাদ্রাসা ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও কিলিং মিশনে অংশ নেয়াদের নিরাপদে বের হয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে।এর আগে বিকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইফতেখার হোসেন রানা ও এমরান হোসেন মামুনেকে আদালতে নিয়ে আসেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম। ৩টা থেকে বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড শুরু করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেষ করেন।

এর আগে ২০ এপ্রিল রাঙ্গামাটি টিঅ্যান্ডটি এলাকার একটি বাড়ি থেকে ইফতেখান হোসেন রানা ও কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে এমরান হোসেন মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে বৃহস্পতিবার দুইজনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এমরান হোসেন মামুন সোনাগাজী পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের চরগণেশ গ্রামের প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে ও ইফতেখার উদ্দিন রানা সোনাগাজী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ঈমান আলী হাজী বাড়ির জামাল উদ্দিনের ছেলে। দুইজনই অধ্যক্ষ সিরাজ মুক্তি পরিষদের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।এ মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১১ জন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন ও ইফতেখার হোসেন রানা।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।এ ঘটনা তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারভূক্ত ৮ আসামিসহ এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD