শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ‘একটা সময় সিনেমা ছিল এদেশের মানুষের অন্যতম বিনোদন মাধ্যম। কিন্তু সেই সিনেমা অশ্লীলতায় ডুবেছে। সিনেমা হলে যাওয়ার বিশ্বাস হারিয়েছে মানুষজন। পরিবার নিয়ে সিনেমা হলে যেতে পারে না। কেননা সিনেমা হলে গেলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অপ্রস্তুত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যখন একটি পরিবার সিনেমা হল বিমুখ হয়ে যায় তখন সেই শিল্প টিকিয়ে রাখা যায় না।’ সম্প্রতি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘নাটকে অশ্লীলতার আগ্রাসন ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।
এছাড়াও তিনি বলেছিলেন, এফডিসিতে সন্ধ্যার পর যাওয়া যায় না।
ইন্ডাস্ট্রিকে অশ্লীলতা ধ্বংস করে দিয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, হল বিমুখ পরিবার বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে টেলিভিশন নাটককে বেছে নিল। নাটক ভালো চলছিল। আমি বেশকিছু নাটকে অনেক তৃপ্তি নিয়ে অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু সেই নাটকেও অশ্লীলতা ঢুকে গেল। এখন ইউটিউবের জন্য যে নাটক নির্মিত হচ্ছে তাতে ভয়াবহভাবে অশ্লীলতা ঢুকে গেছে। ওটিটি প্ল্যাটফরমের সিরিজে অশ্লীলতা ঢুকে গেছে। এখন পরিবারকেন্দ্রিক বিনোদন মাধ্যমও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অশ্লীলতার কারণে ড্রয়িংরুমের বিনোদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সভা সেমিনার করে এসব বন্ধ করা যাবে না। এসব পদক্ষেপ নিয়ে বন্ধ করতে হবে।
তার মতে, বাংলা নাটক ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। বর্তমানে নাটকে যেভাবে কাপড় খোলা হয়, তাতে কিছুদিন পর চামড়া খোলা ছাড়া আর কিছু বাকি থাকবে না।
রিয়াজ বলেন, অশ্লীলতা কোনো সংস্কৃতি হতে পারে না। কোনো দেশের সংস্কৃতি হতে পারে না। অশ্লীলতা নানাভাবেই হতে পারে। সমুদ্র সৈকতে যে পোশাক মানানসই, জুম্মার দিনে কোনো মসজিদের সামনে সে পোশাক বেমামান। শুধু পোশাক নয়, দেহভঙ্গিতেও অশ্লীলতা থাকতে পারে, শব্দ চয়নেও অশ্লীলতা থাকতে পারে। সংলাপেও অশ্লীলতা থাকতে পারে।
এক শ্রেণীর মানুষ অশ্লীলতা পছন্দ করেন বলে অশ্লীল নাটক বানানো হচ্ছে। ভিউ, লাইকের কারণে প্রজন্ম অশ্লীলতার চর্চা করছে। কিন্তু এর পরিণাম হবে ভয়াবহ। অশ্লীলতা দীর্ঘস্থায়ী হবে না, এইসব অশ্লীল নাটক সিরিজে অশ্লীলতা- এক সময় অরুচি তৈরি করবে; সামাজিক বন্ধন গুলোকে ভেঙে ফেলবে। দেশের সংস্কৃতিকে পঙ্গু করে ফেলবে।
Leave a Reply