শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ জামালপুরে তৃতীয়বারের অভিযানে আরও ৩৭ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে জামালপুর জেলা পরিষদ সদস্য ও সদর থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান দুলালের ভাড়া দেওয়া গুদাম থেকে পোলট্রি বস্তায় ভরা এই চাল উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মাহমুদা বেগম।
এসব চাল নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এর আগে সকালে একই ইউনিয়নের চিকারপাড় গ্রামে অভিযান চালিয়ে কালোবাজারে পাচারের সময় ৫০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এসব চাল হতদরিদ্রদের মধ্যে ১০ টাকা দরে বিক্রির জন্য বরাদ্দ ছিল। জামালপুরে এ পর্যন্ত ৩টি স্থান হতে এসব চাল উদ্ধার হলেও চাল চোরাই কাজে জড়িত কেউ রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার হচ্ছেনা বলে মন্তব্য করেছেন সুধীমহল। তবে এসব ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য বিভাগ।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মাহমুদা বেগম জানান, গোপনে খবর পেয়ে বিয়ারা পলাশতলা বাজারের একটি গুদামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ওই গুদামটির মালিক সদর থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান দুলালের। তিনি নূরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গুদামটি ভাড়া দিয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার স্বার্থে দুলাল গুদামটির দরোজা খুলে দিয়েছেন। সেখানে ৭৪টি সরকারি পরিত্যক্ত বস্তা পাওয়া গেছে। পাশেই পোল্ট্রি ফিডের ৩৭টি বস্তায় যে চাল পাওয়া গেছে সেসব সরকারি চাল। নূরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের জন্য উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে সকালে একই ইউনিয়নের চিকারপাড় এলাকায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে পাচারের খবর পেয়ে ভ্রম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে চাল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে ৩টি ইজিবাইক থেকে ৫০ বস্তা চাল জব্দ করে নারায়ণপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে রাখা হয়।
এ ঘটনায় ওই এলাকার ডিলার লুৎফর রহমান, কালোবাজারি আসাদুল্লাহ ও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Leave a Reply