তাজিয়া মিছিলে জেএমবি বোমা হামলার চার বছর, মামলায় স্থবিরতা Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




তাজিয়া মিছিলে জেএমবি বোমা হামলার চার বছর, মামলায় স্থবিরতা

তাজিয়া মিছিলে জেএমবি বোমা হামলার চার বছর, মামলায় স্থবিরতা




অনলাইন ডেস্ক: ১৪৩৭ হিজরি সনের ০৯ মহররম (২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে হোসেনি দালানে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জেএমবি বোমা হামলা চালায়। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পবিত্র আশুরার দিন (হিজরি হিসেবে) এ বোমা হামলার চার বছর পূর্ণ হলো। নৃশংস এই বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার আইনী জটিলতার কারণে চার বছরেও শেষ হয়নি। অনেকটা স্থবির অবস্থায় রয়েছে মামলাটি।

২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ জঙ্গির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। চার্জগঠনের পর গত ২৭ মাসে মাত্র ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন। সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে আটকে রয়েছে মামলাটির বিচার কাজ। প্রায় আড়াই বছর ধরে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে থাকা এ মামলায় সর্বশেষ গত বছর ২২ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণ হয় । গত প্রায় এক বছর আর কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারেননি ট্রাইব্যুনাল। যদিও ওই সময়ের মধ্যে মামলায় ৫টিরও বেশি তারিখ ধার্য হয়।

এদিকে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মামলাটির তারিখ ধার্য ছিল। এক আসামি নাবালক প্রমাণিত হওয়ার পর আরেক আসামিকে নাবালক দাবি করেছেন তার আইনজীবী। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় আবেদন করেন।

ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল তা মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন।

মামলা সম্পর্কে সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম সঠিকভাবেই চলছিল। কিন্তু গত বছর এ মামলায় কারাগারে থাকা আসামি জাহিদ হাসান ওরফে রানার আইনজীবী দাবী করেন মামলায় চার্জশিট দাখিল হওয়ার সময় তার আসামির বয়স ১৭ বছর ছিল। আইন অনুযায়ী সে শিশু হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে হতে হবে। ওই কারণে ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। সম্প্রতি ওই সম্পূরক চার্জশিট দাখিল হয়েছে। আরেক আসামির পক্ষেও এ দাবি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এর আগে ধার্য তারিখে সাক্ষী আসলেও সাক্ষ্য নেয়া যায়নি। আইনী জটিলতা কেটে গেলে মামলাটির বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে রাষ্ট্রপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে আশা করেন রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিটে মারাত্মক ত্রুটি করেছেন। একজন নাবালককে তিনি সাবালক করে চার্জশিট দিয়েছেন। মূলত তদন্ত কর্মকর্তার ত্রুটির কারণে মামলটির বিচারকাজ এগোচ্ছে না। গত এক বছর থেকে মামলাটিতে কোন সাক্ষ্য হয়নি। বিনা বিচারে আসামিরা কারাগারে রয়েছে।

তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা যে ধারায় চার্জশিট দাখিল করেছেন সেই ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু আসামি কিশোর হলে তার সর্বোচ্চ সাজা হলো ১০ বছর কারাদণ্ড। এছাড়া এপর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষ যে কয়জন সাক্ষী আদালতে হাজির করেছেন তারা এসে অভিযোগ প্রমাণ করার মতো কিছু বলেনি।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, আসামি নাবালক কি না সেই বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের পর্যায়ে মামলাটি রয়েছে। এ অবস্থায় সাক্ষ্য গ্রহণের সুযোগ নাই। প্রতিবেদন এলে মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD