শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:ঈদে বাড়ি ফিরতে শেষ দিনেও ট্রেন ও বাস টার্মিনালগুলোতে ভিড় রয়েছে ঘরমুখো মানুষের। ভোগান্তি সঙ্গে নিয়ে রওনা হতে হয়েছে তাঁদের। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ছেড়েছে সবকটি ট্রেন। আর সড়কপথে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, হাজারো মানুষের ভিড়, কিন্তু দেখা নেই ট্রেনের। তাই একেকটি ট্রেন স্টেশনে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাতে ওঠার যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় মানুষের।
যে যেভাবে পেরেছে, একটু জায়গা দখলের চেষ্টা করেছে। ভেতরে দাঁড়ানোর জায়গাও যারা পায়নি, ঝুঁকি নিয়ে তারা চড়ে বসেছেন ছাদে। টিকেট কেটেও বসার জায়গা মেলেনি অনেকেরই। ফলে যে যেভাবে পেরেছেন রওনা হয়েছেন বাড়ির পথে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে যাত্রাপথের এ ভোগান্তিও তুচ্ছ ঘরমুখো অনেক মানুষের কাছে।
একজন নারী (৩০) বসতে পেরেছেন নিজ আসনে। তিনি বলছিলেন, তিনি জানালা দিয়ে উঠছেন। দুই-তিন মিনিট কষ্ট করতে হয়েছে। সেটা তেমন কিছু না। এটুকু কষ্ট তো মানতেই হবে।
আরেকজন যুবক (৩৫) টিকেট কেটেছেন। কিন্তু দাঁড়িয়ে ছিলেন দরজার পাশেই। নিজের সিট পর্যন্ত যেতে পারেননি। তিনি বলছিলেন, তবুও তো উঠতে পেরেছি। কষ্ট কিছু না, বাড়ি তো যেতে পারছি।
জানালার পাশে সিটে বসা এক তরুণী বলছিলেন, ‘এত কষ্টের মধ্যেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারব, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।’
ঈদের আগে শেষ দিনে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যায়নি। কোনো কোনো ট্রেন পাঁচ-ছয় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
এদিকে কমলাপুর থেকে দুপুরে ছেড়ে যাওয়া লালমনি এক্সপ্রেসের একটি বগির স্প্রিং দেবে যাওয়ার বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতে ট্রেনটিকে কমলাপুরে ফিরিয়ে এনে সংস্কার করার পর উত্তরবঙ্গের দিকে ছেড়ে যায়।
একই অবস্থা সড়কপথেও, মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতির কারণে টার্মিনালগুলোতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থেকেছেন যাত্রীরা। বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও করেছেন অনেকে।
তবে শেষ পর্যন্ত বাস কিংবা ট্রেনে একটু জায়গা যাঁরা পেয়েছেন, স্বস্তি ছিল তাঁদের। যদিও পথের ভোগান্তির আশঙ্কা তো রয়েছেই।
Leave a Reply