মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠিতে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীকে অসামাজিক কাজে বাধ্য করতে না পেরে বোম্বাই মরিচ দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুর ১২টায় ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিউটি বেগম নামে ওই নারী নেত্রী।
অভিযুক্ত সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ওই নারী নেত্রীকে মারধর ও তার বসতঘর ভাঙচুর করেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও নূরে আলমের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তার পক্ষ নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ওই নারী নেত্রী।
লিখিত অভিযোগে ৭ নাম্বার ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিউটি বেগম দাবি করেন, একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম দীর্ঘদিন ধরে তাকে অসামাজিক কাজের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এমনকি তাকে স্থানীয় গরীব ও অসহায় নারীদের তার কাছে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়। এতে রাজি না হওয়ায় বিরোধ সৃষ্টি হয় প্রতিবেশী আওয়ামী লীগ নূরে আলমের সঙ্গে।
গত ১৯ মে বোম্বাই মরিচ মেশানো পানি তার শরীরে ঢেলে দেয় নূরে আলম ও তার সহযোগীরা। ওই নারী নেত্রীকে মারধর ও তার বসতঘরও ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে পরিবারের লোকজন সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নির্যাতিত ওই নারী।
সংবাদ সম্মেলনে বিউটি বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল ইসলাম খান ও সিদ্দিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
গাভারামচন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা শেরওয়ানি মাসুম বলেন, বিউটি বেগমের সঙ্গে তাদের একই বাড়ির আত্মীয়দের বিরোধ রয়েছে। আমার সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। আমার বিরুদ্ধে সে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ নেতা নূরে আলম বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে বিউটি বেগম আমার সম্মানহানির চেষ্টা করছেন। বিউটি বেগমের দেবর হারুন মোল্লা এবং জা লিপি বেগমের সঙ্গে তার ঝগড়াঝাটি হয়েছে। তার সঙ্গে আমাকে জড়াচ্ছে।
Leave a Reply