গণপূর্ত ভবনে মহড়া: আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিলেন ২ আ.লীগ নেতা Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসার সহ-সুপারসহ নিহত ২ বরিশাল সাংবাদিক ফোরাম (বিএসএফ) এর আত্মপ্রকাশ, সভাপতি সুমন॥ সম্পাদক শাহীন কাউখালীতে মাছে রং মেশানোর অভিযোগে চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই : এসএম জাকির কাউখালীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত পুলিশের সকল সদস্যকে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে: বিএমপি কমিশনার পাথরঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অগ্নি নির্বাপণ সার্টিফিকেট না থাকায় নগরীর ‘কস্তুরী’ রেস্তোরাঁ বন্ধ প্রবল তুষারপাত-বৃষ্টিতে আফগানিস্তানে নিহত ৬০ রমজানের যে আমল মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে হজ করার সমতুল্য




গণপূর্ত ভবনে মহড়া: আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিলেন ২ আ.লীগ নেতা

গণপূর্ত ভবনে মহড়া: আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিলেন ২ আ.লীগ নেতা

গণপূর্ত ভবনে মহড়া: আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিলেন ২ আ.লীগ নেতা




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ পাবনায় গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয়ে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিতে জড়িত দুই ঠিকাদার পাবনা সদর থানায় তাদের বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছেন।

 

 

রোববার (১৩ জুন) বিকেলে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গণমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পরে অস্ত্র প্রদর্শনকারী দুই ঠিকাদার এ আর খান মামুন ও শেখ লালু আজ পাবনা সদর থানায় তাদের দুটি লাইসেন্সকৃত শটগান থানায় জমা দিয়েছেন। সরকারি দপ্তরে অস্ত্র হাতে প্রবেশ করার ঘটনায় পাবনা সদর থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অস্ত্র বৈধ হলেও জনমনে ভীতির সৃষ্টি হতে পারে এমনভাবে অস্ত্র প্রদর্শনের সুযোগ নেই। অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, সম্প্রতি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে প্রায় ২৫-৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গণপূর্ত ভবনে আসেন। এ সময় হেলমেট পরিহিত অবস্থায় ছিলেন অনেকেই। তারা বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের খোঁজ করেন। একপর্যায়ে তারা উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে গিয়ে তার টেবিলের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র রেখে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর তারা বের হয়ে যান।

 

 

তবে এ ঘটনায় পূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো মামলা বা অভিযোগ করা হয়নি। পাবনা পূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি অফিসের বাইরে ছিলাম। তবে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখেছি, অস্ত্র হাতে অনেকে এসেছেন। তারা আমাকে সরাসরি বা ফোনে কোনো হুমকি দেননি, কথাও হয়নি। তাই, আমরা লিখিত অভিযোগ করিনি। যেহেতু তারা কোনো অনিষ্ট করেননি, সেহেতু এ ব্যাপারে কোনো মামলা করার পরিকল্পনা গণপূর্ত বিভাগের নেই।’

 

 

এদিকে, সাংবাদিকদের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ৬ জুন দুপুর ১২টা দুই মিনিটে গোলাপি পাঞ্জাবি ও টুপি পরিহিত আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ফারুক আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে জামার হাতা গুটিয়ে গণপূর্ত ভবনে প্রবেশ করছেন। তার পেছনে রয়েছেন হাফশার্ট ও মাস্ক পরিহিত অবস্থায় শর্টগান হাতে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন ও সাদাকালো টি-শার্ট পরিহিত যুবলীগ নেতা শেখ লালু। অস্ত্র নিয়ে তারা গণপূর্ত ভবনের বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করেন। বাইরে সশস্ত্র সহযোগীরা অপেক্ষায় থাকেন। ১২টা ১২ মিনিটে তারা অস্ত্র প্রদর্শন করেই বের হয়ে চলে যান।

 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবনা গণপূর্ত বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রভাব বিস্তার করে উন্নয়নকাজের কোটি কোটি টাকার টেন্ডার ভাগিয়ে নেন ক্ষমতাসীন দলের ঠিকাদাররা। তাদের দাপটে অনেক পেশাদার ঠিকাদার গণপূর্ত বিভাগে টেন্ডার জমা দিতে পারেন না। টেন্ডার নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপের দ্বন্দ্ব রয়েছে। পাশাপাশি গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের নিজেদের পক্ষে রাখতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন তারা। কিছুদিন ধরে প্রভাব ও ক্ষমতার দাপট দেখাতে তারা বিভিন্ন সময় শোডাউন, শক্তি প্রদর্শন শুরু করছেন। তবে অস্ত্র নিয়ে মহড়ার ঘটনাটি প্রথম। এ নিয়ে চরম আতঙ্কে আছেন গণপূর্ত বিভাগে কর্মরতরা।

 

 

গণপূর্ত বিভাগের পাবনার উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ঠিকাদাররা আমার কক্ষে এসেছিলেন। আমার টেবিলের ওপর অস্ত্র রেখে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে এসেছেন বলে জানান। খারাপ আচরণ বা গালাগালি করেননি তারা।

 

 

বিল কিংবা টেন্ডার নিয়ে ক্ষোভ থেকেই তাদের এমন মহড়া কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাবনায় নতুন যোগদান করেছি। এসব বিষয়ে আমার জানা নেই।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বলেন, ঘটনার সময় আমি অফিসের বাইরে ছিলাম। তবে সিসিটিভি ফুটেজে অস্ত্র হাতে অনেকেই এসেছেন দেখেছি। তারা আমাকে সরাসরি কিংবা ফোনে কোনও হুমকি দেননি, কথাও হয়নি। তাই থানায় লিখিত অভিযোগ দিইনি।

 

 

এ বিষয়ে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো এ ধরনের অনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। আর এটি দলীয় কোনো ব্যাপার নয়।’

 

 

অস্ত্র হাতে গণপূর্ত বিভাগে প্রবেশের কারণ জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদার ফারুক বলেন, ‘এটি একটি ভুলবশত ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদারি কাজের আমি জড়িত না। অন্য জায়গায় যাওয়ার পথে ওই অফিসে গিয়েছিলাম। তবে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।’

 

 

এ আর খান মামুন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সঙ্গে টাকা ছিল। ফলে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সঙ্গে অস্ত্র রেখেছিলাম। আমাদের ভুল হয়েছে সরকার অফিসে প্রবেশ করা। কিন্তু কোনো ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা সেখানে যাইনি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD