কেন্দ্রীয় কারাগারে চলছে ঘুষ বানিজ্য Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




কেন্দ্রীয় কারাগারে চলছে ঘুষ বানিজ্য

কেন্দ্রীয় কারাগারে চলছে ঘুষ বানিজ্য




নিজস্ব প্রতিবেদকঃবরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে চলছে অনিয়ম দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্য। হাসপাতালে সিট বানিজ্য, ওয়ার্ডে সিট বানিজ্য, পিসি বানিজ্য, ঔষুধ বানিজ্য, রাইটার বানিজ্য, কারাগার বদলীর মিথ্যা ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা আদায়, ক্যাশ টেবিল নামক মানবতা বিবর্জিত কান্ড, নিন্মমানের খাবার সাপ্লাই, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কারাগারের ভিতর মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ সহ এমন কোন বানিজ্য নেই যা জেল সুপারের নির্দেশে হয়না।

 

 

 

এমনকি টাকা দিলে মিলে মাদক ও বন্দী নির্যাতন, অনিয়ম-দুর্নীতি, মাদক বাণিজ্য থেকে শুরু করে নানা রকম অপরাধের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বরিশাল জেল কারাগারে ।

 

 

ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়ে দাগি অপরাধীরা নিয়ন্ত্রণ করছে কারাগারের সব কিছু। উন্নত খাবার, স্বজনদের একান্ত সাক্ষাৎ, অভিজাত জীবনযাপন, সুস্থ হয়েও হাজতি-কয়েদিদের মাসের পর মাস হাসপাতালে অবস্থানসহ এসবই চলছে অহরহ।

 

 

টাকার জোরেই কুখ্যাত দাগি সন্ত্রাসী, ইয়াবা ব্যবসায়ী, মানবপাচারকারী, চোরাচালানি, রোহিঙ্গা এমনকি মাদক ব্যবসায়ীরাও কারাগারে বিলাসী জীবনযাপন করছে।

 

 

জেলে বসেই হচ্ছে বড় বড় অপরাধ পরিকল্পনা। সেখানকার নির্দেশনাতেই বাইরে খুনোখুনি ঘটছে, চলছে চাঁদাবাজি, অপহরণ, লুটপাটসহ নানা রকম অপরাধ তৎপরতা। অবশ্য এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে জেলা কারা কর্তৃপক্ষ।

 

 

সুত্র মতে, টাকা ছাড়া কিছুই হয় না বরিশাল কারাগারে। এই কারাগারে ইট-বালু, চেয়ার-টেবিল, সব কিছুতেই টাকা চায়। অফিসার, পিয়ন, দারোয়ান থেকে দালাল পর্যন্ত সবার নজর পকেটের দিকে, খোঁজে শুধু টাকা। কারাবন্দিদের সাক্ষাৎ পেতে প্রতিদিন কারা গেটে হাজির হন পাঁচশতাধিক দর্শনার্থী।

 

 

 

কিন্তু দালাল চক্রের হাতে টাকা না দিয়ে কারাগারের বাইরের প্রধান গেইট পেরিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। ভিতরে টাকা, বাইরেও টাকা। আসামি দেখতে টাকা লাগে, খাবার দিতে টাকা লাগে, আসামির আরাম-আয়েশ নিশ্চিত করতেও লাগে মোটা অঙ্কের টাকা এমনকি দর্শনার্থীদের মোবাইল জমা রাখার জন্যও লাগে টাকা।

 

 

 

মোট কথা , প্রতিমাসে জেল সুপারের মাসিক অনিয়ম আয় ২০ লাখ টাকা বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানি প্রতিবেদনের আজকের পর্বে থাকছে সিট বানিজ্য নিয়ে।

 

 

বর্তমানে ধারন ক্ষমতার চেয়ে প্রায় দশগুন কয়েদী অবস্থান করছে। জেলা কারাগার এখন অনিয়মের মাধ্যমে টাকা কামানোর মেশিন বলেও জানান জেল ফেরত আসামীরা।

 

 

গরুর মতো কয়েদি বেচা বিক্রি হয় পিসির মাধ্যমে। ঠাশা কয়েদিরা নিজেকে কিছুটা রক্ষা করতে পেতে চায় সামান্য থাকার যায়গা।

 

 

 

এজন্য টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয় নড়াচড়ার জায়গাটুকু। তাছাড়া জেলে ঢুকতে টাকা না দিলে ইলিশ ফাইল কপালে জুটবেই।

 

 

এ ছাড়াও কারা হাসপাতাল, রান্নাঘর (চৌকা), দর্জিদফা, বাগানদফা, ও কারাক্যান্টিনসহ সুবিধাজনক বিভিন্ন দফায় কাজ দিতে হাজতী-কয়েদীদের কাছ থেকে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা আদায় করে কর্মকর্তারা।

 

 

এসবের মধ্যে সবচেয়ে লোভনীয় পদ হল বন্দী ওয়ার্ডের “মেট”। সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত কয়েদীরা বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেট হওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের সাথে মোটা অংকের চুক্তি করে। উপরোক্ত সব দফা ও পদ প্রতিমাসে নবায়ন করতে হয়। ওয়ার্ডে সিট বানিজ্যের জন্য মেট নামক একধরনের দালালের নাম।

 

 

 

 

এ মেটরাই ওয়ার্ডে সিট বানিজ্যের প্রধান। যারা কম আদায় করে পরবর্তী মাসে তাকে আর মেটও রাখেনা। মাস পর পর এর মুল্যায়ন। তাছাড়া কারা হাসপাতালের অবস্থা আরো নাজুক, দুশরও অধিক ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দখলে কারা হাসপাতাল।

 

 

এ বানিজ্য সবাইকে ছাড়িয়ে যায়। এদের কেউ রোগী নয়। হাসপাতালে থাকার জন্য ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় মাসে ১৫ থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ২৫ হাজার টাকা।

 

 

 

সে হিসাবে শুধু কারা হাসপাতালে অনিয়মের আয় হয় মাসে ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা। জেল ফেরত চকরিয়া ঢেমুশিয়ার আমিন বলেন, দেশের সবচেয়ে মানুষ নির্যাতনের ও অনিয়মের স্থান বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার।

 

 

টাকা ছাড়া সেখানে কিছুই বুঝেনা। অসহায়দের সেখানে এক প্রকার জাহান্নাম।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD