ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ১১ সদস্যের চিঠি Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ১১ সদস্যের চিঠি

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ১১ সদস্যের চিঠি

বরগুনায় মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগ




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন পরিষদের ১১ সদস্য।

 

 

রোববার চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে এই অনাস্থা প্রস্তাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আতিকুর রহমান পিন্টু। অনাস্থা প্রস্তাবের অনুলিপি জেলা প্রশাসকের কাছেও পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বলেন, “অনাস্থা প্রস্তাব পেয়েছি। এ বিষয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

অনাস্থা প্রস্তাবে সই দেওয়া ইউপি সদস্যরা হলেন-মো. বাবুল আকন, বাচ্চু মিয়া, নুরুল ইসলাম হাওলাদার, মো. মোস্তফা কামাল হাওলাদার, আবুল কালাম তালুকদার, মো. আতিকুর রহমান পিন্টু, খালেক বেপারী, আনোয়ার হোসেন, মো. শামীম আলম, মোসাম্মৎ আখি বেগম দুলু এবং বেবি বেগম।

 

 

ইউপি সদস্য মো. আতিকুর রহমান পিন্টু বলেন, “চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির ১৫টি অভিযোগ এনে তার বিষয়ে অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইউপি ১২ সদস্যের মধ্যে ১১ জনই অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেনেছেন।

 

 

অনাস্থা প্রস্তাবে মো. হুমায়ুন কবিরকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

 

তবে মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহযোগী সংগঠন শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি তিনি। যদিও বর্তমানে তিনি কোনো দল বা সংগঠনের নেতৃত্বে নেই।

 

 

অনাস্থা জানিয়ে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির তথ্য সেবা কেন্দ্রের সরকার মনোনীত ১১/১২ বছরের অভিজ্ঞ উদ্যোক্তাকে বাদ দিয়ে তার আত্মীয় পাশের ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম এবং মামুনকে দিয়ে তথ্য সেবা কেন্দ্র পরিচালনা করেন।

 

 

“নির্বাচনের পর দেড় বছর পার হলেও প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সরকারি কোনো চিঠি পরিষদের কোনো সদস্যদের সামনে তিনি খোলেন না। পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগ দেওয়া নাজমুল আলমকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

 

 

“ট্যাক্সের রশিদ ছাপানোর তথ্য ইউপি সদস্য এবং সচিবের কাছে প্রকাশ করেননি। চেয়ারম্যান নিজে এবং তার আত্মীয় স্বজনরা ট্যাক্সের টাকা আদায় করে রাজস্ব আয়ে না দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। ট্রেড লাইসেন্স এর বই ইচ্ছে মতো ছাপিয়ে আত্মীয় স্বজনদের বিতরণ করে অর্থ আত্মসাৎ করেন। ১৮০ জনের রেশন কার্ড অনলাইনে করানোর জন্য জনপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা করে নিয়েছেন। গত ১২ জুন বরাদ্দ ১ টন চাল বিতরণ না করেই আত্মসাৎ করেছেন।”

 

 

পরিষদের সকল সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান একাই নেন উল্লেখ করে অনাস্থায় অন্য সদস্যরা বলেছেন, সরকারি কোনো বরাদ্দ সঠিকভাবে বন্টন করেন না তিনি। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে জনগণকে হয়রানি করেন এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন বলেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ১১ ইউপি সদস্য।

 

 

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেছেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এসব অভিযোগ করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD