অবশেষে ভিপির দায়িত্ব নিচ্ছেন নুর Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




অবশেষে ভিপির দায়িত্ব নিচ্ছেন নুর

অবশেষে ভিপির দায়িত্ব নিচ্ছেন নুর




অনলাইন ডেস্ক:অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আগামী শনিবার (২৩ মার্চ) ডাকসুর ভিপির দায়িত্ব গ্রহণ করছেন নুরুল হক নুর।বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নুরের একাধিক ঘনিষ্ঠজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নব-নির্বাচিত ডাকসু নেতাদের নিয়ে কার্যকরি সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার বেলা ১১টায়।

এ সভাতেই ডাকসুর নির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে ভিপির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন নুরুল হক নুর ।

গত ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের দিন দুপুরে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে অন্য চারটি প্যানেলের সঙ্গে নির্বাচন বর্জন করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর প্যানেল।

নির্বাচনে ফল ঘোষণায় ডাকসুর প্রধানতম ভিপি প্রার্থী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে দুই হাজার ভোটের ব্যবধানে পেছনে ফেলে ভিপি নির্বাচিত হন নুরুল হক নুর।

নির্বাচন বর্জন করার পর ভিপি হিসেবে নুর দায়িত্ব নিবেন কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই প্রশ্নের উত্তর নুরুল হক নুর নিজেই দেন। ১২ মার্চ পুনরায় ডাকসুর দাবিতে অনশন করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে গিয়ে নুর জানান, তিনি ভিপি পদ ও তার প্যানেল থেকে বিজয়ী আখতার হোসেনের সমাজসেবা সম্পাদক পদ বাদে ডাকসুর বাকি ২৩ পদে নির্বাচন চান। পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে নুর আন্দোলন করবেন বলেও ঘোষণা দেন।

এরপর গত ১৬ মার্চ নুরসহ ডাকসু ও হল সংসদের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে যান। পরের দিন ১৭ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর সবগুলোপদে পুনরায় নির্বাচন চান বলে ঘোষণা দেন।

নুরুল হক নুরের এমন দ্বৈতমতের কারণে ডাকসুতে তিনি দায়িত্ব নিবেন কি না সেটা নিয়ে সংশয় বাড়তে থাকে। বক্তব্য স্পষ্ট করতে বললে নুর সাংবাদিকদের বলেন ‘দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি। তারা যদি আমাকে দায়িত্ব নিতে বলে তাহলে নেব।

নুরুর ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ২৩ মার্চ ডাকসুর নির্বাচিত অন্য নেতাদের সঙ্গে নুর দায়িত্ব নেবেন। নুরের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে নির্বাচন বর্জনকারী বাকি প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা বলেছেন নুর দায়িত্ব নেবেন কি না সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

নুরের দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও নুরুর প্যানেল থেকে জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী রাশেদ খান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছি। অধিকাংশ শিক্ষার্থী চায় নুর দায়িত্ব গ্রহণ করুক। শিক্ষার্থীদের দাবি নুর দায়িত্ব গ্রহণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে সোচ্চার থাকুক।

তবে কিছু শিক্ষার্থী দায়িত্ব গ্রহণ না করারও আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানান তিনি। কীভাবে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে ও হল ঘুরে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়েছি।

এ বিষয়ে নুরুল হক নুরও একই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থী আমাকে দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে। তারপরও আমি আরও শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলব। ভেবে চিন্তে তারপর একটা সিদ্ধান্ত নেব।

এ বিষয়ে প্রগতিশীল ছাত্র জোট থেকে ডাকসুর ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী ও নির্বাচন বর্জনকারী লিটন নন্দী বলেন, নুর দায়িত্ব নিবে কি না সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু আমরা পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাব।

আগামী ২৩ মার্চ কালোকাপড় মুখে দিয়ে বিক্ষোভ ও ২৮ মার্চ আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।দীর্ঘ ২৮ পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক পদ ছাড়া ডাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে ২৩টিতে জয় পায় ছাত্রলীগ। ভিপি পদে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে হারিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর জয় পান। তবে ফলাফল ঘোষণার আগেই অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগের প্যানেল ছাড়া অন্য সব প্যানেল ভোটের দিনই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে ছাত্রদল, কোটা সংস্কার, স্বতন্ত্র ও বাম জোটের প্রার্থীসমর্থকরা ডাকসুর পুননির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD