শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল:
সরকারি চাকুরির অপর নাম সোনার হরিণ।এ চাকুরি না পেয়ে বাংলাদেশের লাখো লাখো শিক্ষিত যুবক আজও বেকারত্ব জীবন যাপন করছে।আর যারা এ সোনার হরীণ হাতের মুঠোয় পেয়েও ধরে রাখতে পারে না,তাদের মত হতভাগা কুলুর বলদ আর দ্বিতীয়টি নেই।১০ বছর পূর্বে বাংলাদেশ কারা বিভাগে চাকুরি হয়েছিল বরিশালের চরমোনাই ইউনিয়নের ইছাগুড়া গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের আবদুল হাই মাষ্টারের কন্যারাশি প্রাপ্ত ছেলে মনিরুল ইসলামের।সে বর্তমানে অবশ্য ভোলা জেলা কারাগারে বন্দি অবস্থায় রয়েছে।বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে,তার বিগত দিনের অপকর্মের কারণে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথে ভূক্তভোগীরা তাকে পিটিয়ে কন্যা রাশি থেকে তুলা রাশি বনিয়ে দিবে।আসামী মনিরের মাদকের নেশার পাশাপাশি অন্যতম একটা নেশা ছিল নারীর প্রতি নেশা।
সাবালক হওয়ার সাথে সাথে মনির বাংলাদেশের সকল সুন্দরী নারীকে বৌ হিসেবে ভাবতে থাকে।সে কারাগারের সরকরি চাকুরির নিকুচি করে কু-দৃষ্টি দেয় তার আশপাশের সুন্দরী রমনীগনের দিকে।সর্বপ্রথম গত সাত বছর পূর্বে মনির বিয়ে করে বরিশালের কালিবাড়ী রোডের তুলি নামে ১ মেয়েকে।
২ বছরের মাথায় তাদের কোল জুড়ে আসে এক ফুটফুটে সন্তান।এ সন্তান ও স্ত্রীকে বাবার বাড়ীতে ফেলে রেখে মনির পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয় তার এলাকার রিতা নামে এক মেয়ের সাথে।কদিন পর শোনা যায় রিতাকেও সে কৌশল খাটিয়ে তার কবজায় এনে ২য় বিয়ে করে।এসব কারণে উভয় স্ত্রী কারা কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানালে কর্তৃপক্ষ তাকে কারা চাকুরি থেকে সাসপেন্ড করে দেন।তবে চোর মানে না ধর্মের কাহিনী এটাই সত্য।মনির হয়ে পরে আরো বেপরোয়া।তার টার্গেট ছিল একটাই,সরকারি চাকুরি থাকুক বা নাই থাকুক আমি ১ ডজন বিয়ে করে বাংলার ইতিহাসে সেঞ্চুরি হাকাব।ইতিমধ্যে মনির বরিশাল ও চরমোনাই থেকে স্থান ত্যাগ করে সেটেল্ড হয় ভোলাতে।এবার ভোলার সুন্দর সুন্দর রমনীদের দেখে মথা নষ্ট হয়ে যায় মনিরের।
কিছু দিনের মধ্যে মনিরের সাথে যোগাযোগ হয় ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কালিকিত্তি গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের আবুল বাশার শিকদারের সুন্দরী মেয়ে রিপার সাথে।একাধিক প্রেমে ও বহুবিবাহে অভ্যস্ত মনির এবার বরিশালের ২ স্ত্রী ও সন্তানদের কথা ভুলে গিয়ে বিবেক বুদ্ধির মাথা খেয়ে,পূর্বের ইতিহাস গোপন করে ২লাখ টাকা যৌতুক হাতিয়ে নিয়ে,তৃতীয় বিয়ে করে রিপাকে।
কিছুদিন পর রিপার পরিবার জানতে পারে মনির চাকুরি থেকে সাসপেন্ড অবস্থায় রয়েছে।এর পর লাগাতার ৩ বছর চাকুরিচুত্য,অলস ও নারী লোভি মনির রিপাদের বাড়ীতে থাকতে শুরু করে।এবার মনির ভাবতে থাকে কৈ মাছের তেল দিয়ে কৈই ভাজবে সে। সর্বশেষ গত ৫ মাস পূর্বে তার সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয় ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মোঃ আবু বেপারীর সুদর্শণ মেয়ে সারমিন আক্তার ঝুমার সাথে।“মাথাই নষ্ট মামা” রাশি যদি মনিরকে এভাবে টেনে নেয় তবে ওর দোষ কোথায়।অন্যদিকে ওতো কন্যারাশি প্রাপ্ত একজন সুদর্শন যুবক।
মনির তার পেছনের ৩ বৌ ও সন্তানদের কথা ভুলে গিয়ে গত ৪ মাস পূর্বে হুট করে ৪র্থ বিয়ে করে সারমিন আক্তার ঝুমাকে।এবার আরো ধাউধাউ করে আগুন জলে ওঠে পূর্বের ৩ স্ত্রীর সংসারে।এটা টের পেয়ে চতুর মনির ৪র্থ স্ত্রী সারমিনকে নিয়ে পাড়ি জমায় বরগুনা জেলায়। সেখানে গিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের সাথে বিভিন্ন তদবীরের মাধ্যমে পূনরায় চাকুরিতে যোগদান করে লম্পট মনির।
এবার কোন উপায় অন্ত না পেয়ে ৩য় স্ত্রী রিপা মনিরকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।এ মামলায় গত ২০ দিন পূর্বে মনিরকে বরগুনা গারাগার থেকে গ্রেপ্তার করে ভোলা থানা পুলিশ।এব্যাপারে ভূক্তভোগীরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কারারক্ষী মনির হোসেনের উপযুক্ত বিচার দাবী করেন।
Leave a Reply