বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ রসবোধের সঙ্গে অলৌকিকতার মিশেলে বাংলা কথাসাহিত্যকে যিনি সমৃদ্ধ করেছেন, তিনি হুমায়ূন আহমেদ। শুভ জন্মদিন বাংলা সাহিত্যের রাজপুত্র হুমায়ূন আহমেদ।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) এই কথার জাদুকরের ৭২তম জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করা হুমায়ূন আহমেদ ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, গীতিকার, নাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছিলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সৃষ্টিশীলতায় তিনি যেখানেই হাত দিয়েছেন, কথা-ছন্দ-দৃশ্যের জাদুতে এক করেছেন পাঠক ও শ্রোতা-দর্শকদের।
সৌভাগ্যের সোনার কাঠি নিয়ে জন্ম নেওয়া এই লেখক জীবদ্দশায় লিখেছেন দুই শতাধিক উপন্যাস। লেখালেখির সঙ্গে সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোও সবার কাছে বিশেষ সমাদৃত হয়।
হুমায়ূন আহমেদ তার দীর্ঘ চার দশকের সাহিত্যজীবনে ভূষিত হয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কারে। এরমধ্যে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, লেখকশিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার অন্যতম। এছাড়া বিভিন্ন সময় দেশের বাইরেও সম্মানিত হয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ।
হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) এক আয়োজনে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ‘বাকের ভাই’খ্যাত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর বলেন, হুমায়ূনকে আমরা শুধুই একভাবে দেখার চেষ্টা করি। তিনি ‘বাকের ভাই’ লিখেছেন, জনপ্রিয় নাটক লিখেছেন। কিন্তু এখানেই শেষ কথা না। তাকে নিয়ে সত্যিকার অর্থে বিচার বিশ্লেষণ এখনও হয়নি। তাকে জনপ্রিয় লেখক বলা হয়। হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয়তার পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করা উচিৎ। তার মূল্যায়ন যথাযথভাবে এখনও হয়নি। যদিও আমাদের দেশে সবকিছু অনেক দেরিতে হয়।
বেঁচে থাকতে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন ঘিরে নানা আয়োজনে মুখরিত থাকতো দখিন হাওয়া, নুহাশপল্লী। এখন তিনি নেই, ২০১২ সালের ১৯ জুলাই চলে যান অদেখার ভুবনে। তবু হুমায়ূনভক্তদের মন মানে না। দৃষ্টি সীমানার ওপারে যেন প্রিয় লেখক ভালো থাকেন- হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে এই প্রণতিই জানাবেন তারা।
Leave a Reply