শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক :
গতকাল দৈনিক আমাদের বরিশাল পত্রিকায়সহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল“বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে সরকারি ওএমএস’র ৬ বস্তা চাল চুরি করে হাতেনাতে আটক, ৫০ হাজার টাকায় দফারফায় ডিলারকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ’ এ সংবাদটি প্রকাশের পর থানার এস আই মিনহাজের দূর্ণীতির তদন্তে আসেন বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আঃ রব। শুক্রবার সকালে তিনি প্রথমে বাকেরগঞ্জ থানায় এসে অভিযুক্ত এস আই মিনহাজের মতামত নেয়। এরপর তিনি পাদ্রীশিবপুরে যান ওএমএস’র ডিলার শহীদ মীর, চাল বিক্রির সময় ভ্যান চালক, চালের ক্রেতা কবির এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান বাবুর মতামত নিতে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আঃ রব ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান বাবুর সাথে কথা বললেও ডিলার শহীদ মীর ও ভ্যান চালককে খুজে পাননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আঃ রবের তদন্তে আসার সংবাদে ওএমএস’র চালের ডিলার শহীদ মীর তার অপকর্ম থেকে বাঁচতে নিজে পলাতক থাকেন। আর ভ্যান চালককেও পালিয়ে থাকার পরামর্শ দেয়।
সুত্র জানায়, হত দরিদ্রদের ১০ টাকা কেজির চাল চুরি করে আতœসাতকারী ডিলার শহীদ মীরকে বাঁচাতে ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান বাবু তার পক্ষে সাফাই গাইছেন। এনিয়ে এলাকার মানুষের মনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে এস আই মিনহাজের সংশ্লিষ্টতার তদন্তে আসার সত্যতা স্বীকার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আঃ রব বলেন, আইনের উর্দ্ধে কেউ নয়। তদন্ত চলছে এ ঘটনার সাথে পুলিশের কারো সম্পৃক্ততা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ১,২,৩ ও ৪নং ওয়ার্ডের ওএমএস’র ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির ডিলার সৈয়দ শহীদ বুধবার রাতে ৬ বস্তা চাল চুরি করে বিক্রির সময় হাতেনাতে আটক করে থানার এস আই মিনহাজ ৫০ হাজার টাকা দফারফায় ছেড়ে দেয়।
চাল নিমিষেই হয়ে যায় ব্যক্তিগত দোকানের চাল। হত দরিদ্রদের জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ১০ টাকা কেজি দরে ওএমওস’র চাল চুরি করে বিক্রি এবং আটক করে পুলিশের ছেড়ে দেয়ার এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নবাসী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ওএমএস ডিলার শহীদ মীরের চাল চুরি করে আতœসাত এবং এস আই মিনহাজের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে ছিলো।
Leave a Reply