শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
জেলা প্রতিনিধি,ঝালকাঠি॥ ঝালকাঠির সদর ও নলছিটি উপজেলাকে অনেকটাই বিভক্ত করে রেখেছে সুগন্ধা নদী। এই নদী পার হতে ভোগান্তি মাথায় নিয়েই নিত্যদিন যাতায়াত করছে নলছিটি উপজেলার বাসিন্দারা।তাই নিজেদের ভোগান্তি লাঘবে দীর্ঘদিন ধরেই সুগন্ধা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন নলছিটিবাসী।সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে থেকে সুগন্ধা নদীর নলছিটি পৌরসভার মাটিভাঙা পয়েন্টে এ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রোডম্যাপ চুড়ান্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, উত্তমাবাদ-মাটিভাঙা সড়কে সুগন্ধা নদীতে ৮০০ মিটার গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের (সিআইবিআরআর) প্রকল্প পরিচালকের কাছে ঝালকাঠির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এ প্রস্তাবনা করেছে। গত ১ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন স্বাক্ষরিত এ প্রস্তাবনা পাঠানো হয়।
প্রস্তাবনাপত্রে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের (সিআইবিআরআর) আওতায় ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার বরিশাল-ঝালকাঠি মহাসড়কের ভৈরবপাশা ইউপি ভবনের সামনে থেকে, উত্তমাবাদ ও মালিপুর মৌজা থেকে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য দুই কোটি ৪৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৮ টাকা প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে।এদিকে সুগন্ধা নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা খান মাইনুদ্দিন বলেন, নলছিটিসহ দক্ষিণাঞ্চলের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিল এ সেতু নির্মাণ। সেতুটি নির্মিত হলে উপজেলা শহরের সঙ্গে জেলার দূরত্ব কমার পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের জীবনের মান উন্নয়নে পরিবর্তন আসবে।
নলছিটি পৌরসভার মেয়র তছলিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ সেতুটি নির্মাণে একান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু। সেই কারণেই অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সেতু নির্মাণ হবে এবং নলছিটিসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এতে উপকৃত হবে।
ঝালকাঠির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের (সিআইবিআরআর) প্রকল্প পরিচালকের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ পেলেই নিয়ম অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে কাজ শুরু করা হবে।
Leave a Reply