সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ টাঙ্গাইলের বাসাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে ডাক্তারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত ডাক্তারকে জুতাপেটা করেন। শুক্রবার দুপুরে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সুবোধ কুমার দাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসাবে কর্তব্যরত আছেন। শ্লীলতাহানীর শিকার ওই শিশু বাসাইল পৌরসভার বালিনা গ্রামের বাসিন্দা।
ওই শিশুর পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই শিশুটির কানে ব্যথা অনুভব হলে শুক্রবার সকালে তার মা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুবোধ কুমার দাস ওই শিশুটির কানে চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রাথমিক পরীক্ষা করেন।
আউটডোরে রোগী দেখাতে হলে টাকা লাগে এমন অযুহাতে একপর্যায়ে শিশুটির মায়ের কাছে পাঁচ টাকা দাবি করে অভিযুক্ত সুবোধ কুমার দাস। এ সময় ওই শিশুটির মা টাকা ভাংতি করতে হাসপাতালের বাইরে যায়। এ সুযোগে শিশুটিকে শ্লীলতাহানী করেন তিনি।
শিশুটির মা হাসপাতালে ফিরে এলে শিশুটি তাকে শ্লীলতাহানীর কথা জানায়। শিশুটির মা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করলে হাসপাতাল এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে শিশুটির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তাকে জুতাপেটা ও এলোপাথারিভাবে কিল ঘুষি দেয়।
পরে খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুবোধ কুমার দাস বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় রোগী দেখি। এতে করে যদি কেউ খারাপ কিছু মনে করে তাতে আমার কিছু বলার নাই। শিশুটিকে শ্লীলতাহানী করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে জুতাপেটা করে ও কিল ঘুষি দেয় বলেও তিনি জানান। বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করি। এ সময় অভিযোগকারী কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবে।
Leave a Reply