বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতোমধ্যে সেখানে বিস্ফোরক তদন্ত দল গেছে, তদন্ত হচ্ছে। কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত হবে। মৃতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটে তখনই বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল আমাকে মেসেজ পাঠান। এইবারও সকালে, বিকেলে মেসেজ পাঠাচ্ছেন এবং রোগীদের অবস্থা জানাচ্ছেন। অনেকে মারা গেছেন। বাকি যারা তাদের পোড়ার অবস্থা এত খারাপ তারপরও চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের সব ধরনের চিকিৎসা আমরা দিচ্ছি। এখন আল্লাহ যদি এদের জীবনটা দিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে মসজিদে নামাজ পড়া অবস্থায় এ ধরনের একটা বিস্ফোরণ। ওইটুকু একটা জায়গায় ছয়টা এসি লাগানো আবার গ্যাসের লাইনের ওপর নাকি এই মসজিদটি নির্মাণ! সাধারণত যেখানেই গ্যাসের পাইপ লাইন থাকে সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হয় না। আমি জানি না, রাজউক কি এটার পারমিশন দিয়েছে কি-না। এটা পারমিশন তো দিতে পারে না, দেয়া উচিত না।
সকলেই মসজিদে দান করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকাল সবার পয়সা আছে। এয়ারকন্ডিশন দিয়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহটা, কতটা লোড নিতে পারবে সেই ক্যাপাসিটি ছিল কিনা, সার্কিট ব্রেকার ছিল কিনা সব বিষয় কিন্তু দেখতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে কিছু করতে গেলে একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলেছি। অন্য সবার কাছে আমার নির্দেশ গেছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। এর কারণটা খুঁজে বের করা। এছাড়া সারাদেশের অন্যান্য মসজিদে যারা অপরিকল্পিতভাবে ইচ্ছামতো এয়ারকন্ডিশন লাগাচ্ছেন বা যেখানে সেখানে একটি মসজিদ গড়ে তুলছেন, সেটা একটা স্থাপনা করার আদৌ জায়গা কিনা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কিনা, নকশা করা হয়েছে কিনা সেই বিষয়গুলো দেখা একান্ত প্রয়োজন। না হলে এ ধরনের ঘটনা-দুর্ঘটনা যেকোনও সময়ে ঘটতে পারে।
Leave a Reply