নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ একটি স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট ও খুনির দল। বাংলাদেশের জনগণ আর আওয়ামী লীগকে দেখতে চায় না। আমরা আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানাই। সবাই ভেবেছিল আওয়ামী লীগ সরকার কেবল বিএনপির ওপর অত্যাচার নিপীড়ন করে। কিন্তু এবারের বিপ্লবে ছাত্র-জনতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা প্রমাণ দিয়েছেন তিনি কতটা স্বৈরাচারী ছিলেন।

শনিবার বেলা ১১টায় বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বীর শহীদদের স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।

অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ভুলে যাবেন না, ছাত্র জনতার আকাঙ্খার বাইরে গিয়ে কিছু করা যাবে না। কোনো শক্তির চাপের কাছে আমরা নত হবো না।

স্বাধীন ফোরাম বরিশাল জেলা কমিটির আহ্বায়ক নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব নাজমুস সাকিব, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবীর জাহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন মেবুল, মহানগর কৃষকদলের সদস্য সচিব সাঈদ তালুকদার, কোতোয়ালি থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ মন্টু খান, আব্দুস ছালাম রাঢ়ি, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাকসুদুর রহমান মাকসুদ, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট তারেক আল ইমরান সহ বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে দুপুরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর নেতৃত্বে বরিশাল নগরীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শেখ হাসিনাসহ সব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বের করা ওই মিছিলে বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।