সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার// পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বরিশালের আগৈলঝাড়ার ফুলশ্রিরি গ্রামে রাসেল পাইককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহতের বড় ভাই আসাদুল হক বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে আজ এ মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা দায়ের করে বাদীকে প্রাননাশের হুমকী দিচ্ছেন আসামীরা। শুধু তাই নয় বাদীর ঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে আসামী ও তাদের লোকজনের বিরুদ্ধে। আসামীরা আহতের স্বজন জাহিদুল ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেছে।
উল্লেখ্য ওই গ্রামের রাসেল পাইকের (৩৫) সাথে একই গ্রামের পিয়াল সেরনিয়াবাত , সিরাজ পাইক, লাল মিয়া পাইক ও মাসুদ হাওলাদার এর সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিলো। সেই সূত্র ধরে ঘটনার দিন সকাল ১০ টায় রাসেল আগৈলঝাড়া ডাচ বাংলা বুথ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী পিয়াল সেরনিয়াবাত এর নেতৃত্বে সিরাজ পাইক , লালমিয়া পাইক ও মাসুদ হাওলাদার সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনে মিলে রাসেলকে খুন করার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হকস্টিক দিয়ে পেটায়। পরে রামদা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আহতকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। সে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে।
ঘটনার সময় তার পকেটে থাকা ডাচ বাংলা বুথ থেকে উত্তোলন করা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও দুইটি উন্নত মানের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য পিয়াল সেরনিয়াবাত রহস্য জনক ভাবে নিজের শরীরে আঘাত করে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতের পরিবার আরো জানায় , পিয়াল সেরনিয়াবাত ২০১৭ সালের আগৈলঝাড়া শহীদ আব্দুর রব সেররিয়াবাত ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যায়।
এ সময় কর্তব্যরত (ইউএনও) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারেক সালমান পিয়ালের শরীর তল্লাশী করে নকল উদ্ধার করে এবং সেই অপরাধে পিয়ালকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়। পরীক্ষার শেষে ইউএনও কে পিয়াল ও তার দলবল নিয়ে লাঞ্ছিত করে।
এ ব্যপারে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবজাল হোসেন জানান, ৩ জনকে আসামী করে গতকাল একটি মামলা দায়ের করেন। আমরা ঘটনা তদন্ত করে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply