বরগুনায় কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ শেষে জবাই করে সাত টুকরা করার দায়ে আইনজীবীর যাবজ্জীবন, দুলাভাইয়ের ফাঁসি Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরগুনায় কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ শেষে জবাই করে সাত টুকরা করার দায়ে আইনজীবীর যাবজ্জীবন, দুলাভাইয়ের ফাঁসি

বরগুনায় কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ শেষে জবাই করে সাত টুকরা করার দায়ে আইনজীবীর যাবজ্জীবন, দুলাভাইয়ের ফাঁসি




আমতলী প্রতিনিধি॥  বরগুনার আমতলী উপজেলায় ফারিয়া ইসলাম মালা নামে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ শেষে জবাই করে সাত টুকরা করার দায়ে এক ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে এক আইনজীবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ওই আইনজীবীর সহকারীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইনজীবীর স্ত্রীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন আলমগীর হোসেন পলাশ। তিনি নিহত কলেজছাত্রী মালার মামাতো ভগ্নিপতি। পলাশ পটুয়াখালীর সুবিদখালী উপজেলার লতিফ খানের ছেলে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন পলাশের ভাগনে জামাই আইনজীবী মাঈনুল আহসান বিপ্লব। সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন আইনজীবী পলাশের সহকারী রিয়াজ। মামলায় আইনজীবী পলাশের স্ত্রী ইমা রহমানকে খালাস দেয়া হয়েছে।

এছাড়া একই আদেশে হত্যার পর মরদেহ লুকানোর চেষ্টার দায়ে বিপ্লব এবং পলাশের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর বরগুনার আমতলী উপজেলা হাসপাতালসংলগ্ন আইনজীবী বিপ্লবের বাসায় মালাকে গণধর্ষণের পর জবাই করে হত্যা করে আসামিরা। পরে মরদেহ সাত টুকরা করে দুটি ড্রামে রাখে তারা। খবর পেয়ে বিপ্লবের বাসায় অভিযান চালিয়ে ড্রামভর্তি মালার সাত টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় বাসা থেকে পলাশকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় বিপ্লব এবং পলাশের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের পিপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, মালাকে ধর্ষণ, হত্যা এবং মরদেহ লুকানোর দায়ে বিপ্লবকে ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি সাত বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। ধর্ষণ এবং মরদেহ লুকানোর দায়ে আইনজীবী বিপ্লবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। মরদেহ লুকানোর দায়ে পলাশের সহকারী রিয়াজকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পলাশের স্ত্রী ইমা রহমানকে খালাস দেয়া হয়।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। এজন্য উচ্চ আদালতে আপিল করব আমরা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD