পেটে কাপড় পেচিয়ে খোঁজ নিচ্ছিলেন অন্যের নবজাতকের! Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




পেটে কাপড় পেচিয়ে খোঁজ নিচ্ছিলেন অন্যের নবজাতকের!

পেটে কাপড় পেচিয়ে খোঁজ নিচ্ছিলেন অন্যের নবজাতকের!




অনলাইন ডেস্ক:কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নবজাতক চোর সন্দেহে আজ শনিবার দুপুরে এক মা ও তাঁর মেয়েকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে লোকজন।

আটক দুজন হলেন নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের হোসনে আরা বেগম (৬০) ও তাঁর মেয়ে পিয়ারা বেগম (৩৫)।

হাসপাতালের রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ভৈরব শহরের ঘোড়াকান্দা এলাকার আলম মিয়ার মেয়ে মেঘলা বেগম (২৫) প্রসবজনিত কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। ওই দিনই শিশুভূমিষ্ঠ হওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডের বেডে স্থানান্তর করেন। শিশুটির যত্ন ও দেখ-ভালের জন্য তার নানি আছিয়া বেগম পাশে থাকেন। এ সময় পিয়ারা বেগম নানি আছিয়া বেগমের পাশে বসে গল্প-গুজব করে সখ্য গড়ে তুলেন এবং মা ও শিশুটির বিষয়ে নানা খোঁজ-খবর নেন।

আজ শনিবার সকালে পিয়ারা বেগম আবারও হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির বেডের পাশে ঘোরা-ফেরা করতে থাকলে বিষয়টি তাদের সন্দেহজনক বলে মনে হয়। এ সময় তারা বিষয়টি শিশুটির নানা আলম মিয়াকে জানালে তিনি দায়িত্ব পালনরত সিনিয়র নার্স মোমতাজ বেগমকে জানান।

মোমতাজ বেগম তখন পিয়ারা বেগমকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পিয়ারা বেগম জানান, তিনি গর্ভবতী এবং এখানে এসেছেন নিজের সন্তান প্রসবের জন্য। আজ তাঁর প্রসবের তারিখ। তখন মোমতাজ বেগম পিয়ারা বেগমকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বলেন। ব্যর্থ হলে সহকর্মীদের সহায়তায় পিয়ারা বেগমকে আটক করেন মোমতাজ। এ সময় তাঁরা পিয়ারা বেগমের গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে গেলে তাঁর পেটে কাপড় প্যাঁচানো দেখতে পান।

পরে বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. কে এন এম জাহাঙ্গীর আলমকে অবহিত করলে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ওই দুই নারীকে থানায় নিয়ে যায়।

আরএমও ডা. কে এন এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুই নারীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছে। পিয়ারা বেগম নিজেকে গর্ভবতী বলে দাবি করলেও, তিনি গর্ভবতী নন। তিনি তাঁর মাকে নিয়ে পরপর দুদিন হাসপাতালে এসে মেঘলা বেগমের নবজাতকের খোঁজখবর নেওয়ায় সন্দেহ ঘনীভূত হয়। তাই তাঁকে নবজাতক চোর সন্দেহে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুই নারীকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD