মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
মেহেদী হাসান জসীম, রাজাপুর॥ শুধু আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বা জাতীয় কোনো দিবসেই নয়, বছরজুড়েই শহীদ বেদিতে নানান রঙের তাজা ফুল ঝরে পড়ে। দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই শহীদ বেদির পাশে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। ব্যতিক্রমী এই শহীদ মিনারটি ঝালকাঠির রাজাপুর সরকারি কলেজে অবস্থিত।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৭০ সালের ১ জুলাই রাজাপুরে প্রথম উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্যে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি দুইচালা লম্বা ঘরে প্রথম কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে রাজাপুরের সবচেয়ে বড় শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা হয় এখানেই। ধীরে ধীরে কলেজের কার্যক্রম বেড়েছে। বর্তমানে কলেজে বড় একটি খেলার মাঠ, দুটি পুকুর, একটি মিলানায়তন ও তিনটি বহুতল ভবন রয়েছে। গত বছর কলেজটি সরকারীকরণ হয়।
কলেজের সৌন্দর্যবর্ধনে অধ্যক্ষ মো. গোলাম বারী ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক জহিরুল ইসলাম জুয়েলের অবদান রয়েছে। তারা গত তিন বছরে কলেজে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করে ক্যাম্পাসের পরিবেশ পাল্টে দিয়েছেন। কলেজ ক্যাম্পাসে বর্তমানে ফলদ, বনজ ও ঔষধি মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক গাছ রয়েছে। ফলে কলেজটিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভোরে এবং বিকালে অসংখ্য দর্শনার্থী আসেন সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, কলেজে গত তিন বছর ধরে প্রতি বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই কলেজের পরিবেশে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এখানে প্রচুর গাছ থাকায় বেড়েছে পাখিদের আনাগোনা। সাধারণ মানুষ বুকভরে নিঃশ্বাস নিতে আসেন এখানে।
কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের প্রভাষক শামসুল আলম বাবুল বলেন, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যবর্ধনে অন্তত পঞ্চাশ ধরনের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।
এর মধ্যে রাধাচুড়া, রেডিয়ামট্রি, উইপিং, বকুলসহ বড় গাছগুলোর অধিকাংশই শহীদ মিনারকে ঘিরে রোপণ করা হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম বারী বলেন, কলেজে নতুন করে যত গাছ রোপণ করা হয়েছে, তার অধিকাংশই সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য। এ ছাড়া নানান প্রজাতির ফলের গাছ রয়েছে। তবে ফুলের বড় গাছগুলো শহীদ মিনারকে ঘিরেই রোপণ করা হয়েছে। যাতে বছরজুড়েই শহীদ বেদিতে তাজা ফুল ঝরে পড়ে। শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা থেকেই আমাদের এই পরিকল্পনা।
Leave a Reply