শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঝালকাঠিতে মিলাদুন্নবী (স.) মাহফিল ও আলোচনা সভায় আসেননি ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন। বুধবার বিকেলে ঝালকাঠি ঈদগাহ ময়দানে পূর্ব নির্ধারিত এই মাহফিলে আমির হোসেন আমু প্রধান অতিথি এবং বজলুল হক হারুন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। বুধবার সারাদিন মাইকিং করে অতিথিদের নাম ঘোষনা করা হয়। মঞ্চের ব্যানারেও তাদের নাম লেখা হয়। তবে তারা কেউই মাহফিলে আসেননি।
উল্লেখ্য, ২০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ওয়াজ মাহফিল আয়োজনের অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে ২০ নভেম্বর এ নির্দেশনা আসলেও ২০ ও ২১ নভেম্বর সারাদিন ঝালকাঠি ঈদগাহ ময়দানের এ মাহফিলে অতিথি হিসেবে মাইকিং করে ঝালকাঠি-১ ও ২ আসনের সংসদ সদস্যদের নাম ঘোষনা করা হয়। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক, পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনিরের নাম প্রচার করা হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকতার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সন্ধ্যার পরেই রাস্তার মাইক বন্ধ করে মাহফিলের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে দোয়া করা হয়।
এছাড়াও ২০ নভেম্বর রাতে শহরতলীর বিকনায় ও পশ্চিম ঝালকাঠিতে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি নির্বাচন কর্মকর্তা সোহেল সামাদ সাংবাদিকদের জানান, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত সারাদেশে সকল ধরনের ওয়াজ মাহফিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি আমরা ২০ নভেম্বর পেয়েছি’।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শোনিত কুমার গাইন বলেন, ‘ঝালকাঠিতে কোথাও ওয়াজ মাহফিল হচ্ছেনা। আমি কোথাও শুনিনি। আর ঈদগাহ ময়দানে শুধু দোয়া হবে’।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হামিদুল হক বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাহফিলে মন্ত্রী ও এমপি মহোদয় মাহফিলে আসবেন না। নিষেধাজ্ঞার পরে মাইকিংয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি জানার পরে মাইকিং বন্ধ করে দিয়েছি।
Leave a Reply