শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥
ঝালকাঠিতে কারাহেফাজতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ইউপি সদস্যের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষিদের শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের লেশ প্রতাপ গ্রামের বটতলায় শত শত নারী-পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেয়। উল্লেখ্য গত ৪ অক্টোবর রাতে বাসন্ডা ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান মন্টু কারা হেফাজতে বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মন্টুর পরিবারের অভিযোগ, একটি মিথ্যা চাদাবজি মামলায় মন্টুকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ ঝালকাঠি শহরের আড়ৎদার পট্ট্রি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় মন্টুর প্রতিপক্ষের যোগসাজসে মন্টুকে লাঠিপেটা করে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হেসেন।
লাঠিপেটায় মন্টুর পা ভেঙ্গে গেলে ঝালকাঠি কারা কর্তৃপক্ষ মন্টুকে বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি করে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মন্টু মারা যান। এদিকে মন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় বাসন্ডা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বরিবার বিকেলে মন্টুর মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যাকান্ড দাবী করে এলাবাসী মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বক্তারা এসআই দেলোয়ার হোসেনের ও মন্টুর নামে দেয়া মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলার বাদী ইসহাক তালুকদার ও তাদের সহযোগিদের বিচার দাবী করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আ: কাদের হাওলাদার, হাফিজুর রহমান, মন্টুর মা নুরজাহান বেগম ও স্ত্রী নাজমা বেগম, মেয়ে সাথী আক্তার, স্থানীয় নারী নেত্রী রোজী আক্তার, রুহুল আমিন মাষ্টার, আলহাজ্ব নূরুল আমিন মল্লিক ও মেহেদী হাওলাদার প্রমুখ। এ ব্যাপারে বাসন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন মল্লিক বলেন, মন্টু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং নির্বাচিত ইউপি সদস্য।
তার বিনা চিকিৎসায় মুত্যুর জন্য মামলার বাদী, প্রশাসন ও তদন্তকারী কর্মকর্তা দোলোয়ার হোসেন দায়ী। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি যথা সময়ে চার্জশীট প্রদান করতো তাহলে মন্টুর এভাবে মৃত হতনা। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং একজন চেয়ারম্যান হিসেবে এর সুবিচার দাবী করি। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন তাকে গ্রেফতার করার সময় পালিয়ে যেতে চাইলে রিক্সা থেকে পরে গিয়ে তার পা ভেঙ্গে যায়। আমরা তার চিকিৎসা করিয়ে আদালতে হস্তান্তর করি। আদালতে জেল হাজতে পাঠায়। তার পরে কিছু হলে কারা কর্তৃপক্ষ জানবেন।
Leave a Reply