সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে কালিমা লেপন, মানহানীকর সংবাদ পরিবেশনের হুমকি, বিনা অনুমতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার বসত ঘরে প্রবেশ করে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হোসেন দুয়ারী’র সম্মুখে ক্যামেরা ধরে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের খাট করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অবান্তর প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আক্কাস সিকদার ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ও পুলিশসুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভুগী বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হোসেন দুয়ারী।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন, পশ্চিম চাঁদকাঠী দেলোয়ার হোসেন ছেলে মোঃ আক্কাস সিকদার, নলছিটি শিতলপাড়া এলাকার আমজেদ আলী খান’র ছেলে মোঃ সবুর খান ওরফে (কে.এম. সবুজ), নেহালপুরের বাবুল মিরা’র ছেলে আসলাম মিরা।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিগত ১৯ ডিসেম্বর ২০ ইং তারিখে দুপুর আনুমানিক ০১:৩০ টার সময় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্কাস সিকদার, মোঃ সবুর খান ওরফে (কে.এম. সবুজ) ও আসলাম মিরা বিনা অনুমতিতে আমার বসতঘরে হঠাৎ প্রবেশ করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার মানষে আমার সম্মুখে ক্যামেরা ধরে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের খাট করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অবান্তর প্রশ্ন করে আমাকে বিভ্রান্ত করে এবং ৩ নং বিবাদী ১ ও ২ নং বিবাদীকে টাকার বিনিময়ে আমাকে হয়রানী করার লক্ষ্যে বাসায় নেয়।
অপরদিকে ৩ নং বিবাদী আমার প্রতিবন্ধী ভাই আবদুল ছত্তার দুয়ারীকে ১০০/-টাকা দিয়ে ১ ও ২ নং বিবাদীদের কাছে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বলেন। আমার ভাই প্রতিবন্ধী বিধায় সে কি বলছে তাহা আমার বোধগম্য নয়, কারণ সে মানষিক প্রতিবন্ধী। এদিকে ১ ও ২ নং বিবাদী আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে কালিমা লেপন করে আমার বিরুদ্ধে মানহানীকর সংবাদ পরিবেশন করে। যাহার আমি তীব্র নিন্দা জানাই।
আমার মনে হয় আমি যদি ১ ও ২ নং বিবাদীকে কিছু টাকা পয়সা দিতাম তাহা হইলে বিবাদীরা আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করিত না। তবে ৩ নং বিবাদী মাঝে মাঝে জেলা প্রশাসকের ভয় দেখাইয়া ১ ও ২ নং বিবাদীর প্ররোচনায় আমার মুক্তিযোদ্ধা সনদ থাকবে না বলিয়া বিভিন্ন সময় এক লক্ষ অথবা দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।
আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি চাঁদা দেওয়ার জন্য। খুন ও বিস্ফোরক মামলা, মামির টাকা আত্মসাতের মামলা ও স্ত্রীর দায়ের করা মামলা’র অভিযুক্তরা সাংবাদিকের সাইনর্বেড লাগীয়ে নীরবে চাদাঁ বানিজ্য করে আসছে। আমি ওই বিবাদীদের কঠিন বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো.জোহর আলী জানান, গতকাল আমি মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হোসেন দুয়ারীর লিখিত আভিযোগটি হাতে পেয়েছি। এটি ভালোভাবে দেখে আমি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
Leave a Reply