সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
জেলা প্রতিনিধি॥ কুরবানিকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠি-ঢাকা রুটে লঞ্চের কেবিন সিন্ডিকেট বেপরোয়া উঠেছে। ঈদের ১৫ দিন আগে থেকেই ঝালকাঠি থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন-১২ ও ফারহান-৭ লঞ্চে কোনো কেবিন পাওয়া যাচ্ছে না। গত এক সপ্তাহ ধরে কেবিনের জন্য দেন-দরবার করেও ঢাকা থেকে ঝালকাঠিগামী যাত্রীরা কোনো কেবিন পাননি।
এদিকে বিভিন্ন কোটা জালে আটকা পড়ে আছে সব কেবিন। প্রশাসন কোটা, রাজনৈতিক নেতা কোটা, জনপ্রতিনিধি কোটসহ নানা কোটার অজুহাতে সাধারণ যাত্রীদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন লঞ্চের স্টাফরা। অথচ লঞ্চে তাৎক্ষণিক এসেও দ্বিগুণ ভাড়ায় কেবিন পেয়েছেন, এরকম ঘটনাও ঘটেছে। কেবিন সিন্ডিকেটের কারণে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা এখন লঞ্চ মালিক ও স্টাফদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুন্দরবন-১২ এবং ফারহান-৭ লঞ্চের স্টাফ ও সুপারভাইজাররা ঈদ এলেই কেবিন বাণিজ্যে মেতে ওঠেন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যোগাযোগ করে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত এই দুটি লঞ্চে ঢাকা ফেরার কোনো কেবিন পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে ঢাকা থেকে ঝালকাঠিগামী সুন্দরবন-১২ লঞ্চে বৃহস্পতিবার এক যাত্রী পূর্বে যোযোগ করে কেবিন না পেলেও পরে তাৎক্ষণিক স্টাফদের বেশি টাকার লোভ দেখালে তাকে একটি সিঙ্গেল কেবিন দেওয়া হয়। ওই যাত্রীর কাছ থেকে সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া রাখা হয় আড়াই হাজার টাকা। অথচ নির্ধারিত ভাড়া ছিল ১ হাজার টাকা।
সুন্দরবন লঞ্চে ওঠা ওই যাত্রী বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে জানান, আমি এক সপ্তাহ আগে থেকে ফোনে ও বিভিন্নভাবে সুন্দরবন-১২ লঞ্চে বৃহস্পতিবারের একটি কেবিনের জন্য চেষ্টা করে আসছি। কিন্তু আমাকে বলা হয়েছে কোনো কেবিন নেই। অথচ লঞ্চে ওঠার পরে স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরে তারা একটি সিঙ্গেল কেবিনের মূল্য হাকায় তিন হাজার টাকা। তারপরে তারা আড়াই হাজার টাকায় কেবিন দিতে রাজি হয়।
এ ব্যাপারে সুন্দরবন-১২ লঞ্চের ঝালকাঠির সুপারভাইজার আবু হানিফ বলেন, বেশি টাকা নেওয়ার কথা না। তারপরেও যদি কেউ নিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেবিন এত আগে কিভাবে সব বুকিং হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, বুকিং ছাড়াও প্রশাসন ও মালিকের জন্য কিছু কেবিন রিজার্ভ থাকে।
Leave a Reply