কাশিপুরে জামায়াত নেতা নুরুল ইসলাম যা ঘটালো ! Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:১০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




কাশিপুরে জামায়াত নেতা নুরুল ইসলাম যা ঘটালো !

কাশিপুরে জামায়াত নেতা নুরুল ইসলাম যা ঘটালো !




নিজস্ব প্রতিবেদক :জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান’র সম্মান রক্ষার্থে দেশে আইন করা হয়। যেখানে বলা হয় যদি কেউ জাতীর জনকের নাম ও ছবি কোন ভাবে বিকৃত করে তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।এবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান’র ছবি ভাংচুর করে নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিলেন কাশিপুর এলাকার এক জামায়াত নেতা ।প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্যই তিনি এমনটাই করেছেন বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে।সুত্রটি আরো জানায়, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু’র ছবি ভাংচুর করে বরিশাল নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডের জামায়েত নেতা নুরুল ইসলাম। তিনি নিজেই ছবি ভাংচুর করে অসহয় এক পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন ।অভিযোগের ভিত্বিত্তে জানাযায়- কিছুদিন পূর্বে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ড ইছাকাঠি এলাকার বাসীন্দা মৃত মো: মফেজ উদ্দিনের পূত্রবধু (মো: নুরুল ইসলাম খান’র স্ত্রী) রুবিনা বাদী হয়ে ইসলাম পাশ্ববর্তী সাবেক শিক্ষা কর্মকতা মৃত নুরুল করিমের ছেলে নুরুল হাসান, সায়েদ আলী হাং’য়ের ছেলে সেলিম হাং, মৃত আফছার ফকির’র ছেলে মো: কাদের ফকির সহ আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যেখানে ঐ মামলার ১ নং সাক্ষী হিসেবে রাখা হয় বাদীর স্বামী নুরুল ইসলাম খান’কে।

মামলার বিবরনে বলা হয় আসামীরা তাদের নিকট মোটা অংকে র চাদাঁদাবী করে, তাদের নগদ অর্থ সহ স্বর্নালংকার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। যাবার সময় বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিড়ে ফেলে এবং বাচ্চাদের বানানো শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে। তবে এই মামলা নিয়ে বেশ কয়েকদিন অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসে চাঞ্জল্যকর ভিন্ন তথ্য। নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর মো: ফরিদ আহমেদ জানান- নুরুল হাসান পারভেজ অত্যন্ত ভালো এবং বদ্রলোক তার বাবা মৃত নুরুল করিম একজন সৎ শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন। শুধু তাই নয়- ২০০৪ সালে ওয়ার্ড আওয়মীলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এ দিকে বিষয়টি নিয়ে ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের মেম্বর বলেন- মামলার বাদী রুবিনা ইসলামের স্বামী ১নং স্বাক্ষী মো: নুরুল ইসলাম খান’র পরিবার কখন’ই আওয়ামীলীগের সাথে ছিলনা।

তারা আজীবন জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। সেক্ষেত্রে নুরুল ইসলামের বাসায় বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকবে এটা আমার কাছে বিশ্বাস হয়না। যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান লিখন বলেন- মৃত নুরুল করিম’য়ের এক ছেলে বর্তমান কর্নেল। অপরদিকে- মামলার শাক্ষী নুরুল ইসলাম খান’য়ের এক শ্যালক মিজান খাঁ পুরোপুরি বিএপির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং দূর্নীতিবাজ ঠিকাদার। নুরুল ইসলাম এখনো জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী। মূলত নূরুল হাসান পারভেজকে ষড়যন্ত্রের জালে ফেলে অবৈধ ভাবে তাদের জমি ভোগ দখল করার জন্য এমনটা করেছে। বিষয়টি নিয়ে ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: জাহাঙ্গীর হোসেন জানান- আমি যতটুকো জানি নুরুল হাসান পারভেজ’য়ের পুরো পরিবার আওয়ামীলীগ পন্থি। তারা ছোট বেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্বিবিত হয়ে মুক্তিযুদ্বের পক্ষে ছিলো।

তার পরিবারের কেউ বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিড়ে ফেলবে এবং শহীদমিনার ভেঙ্গে ফেলবে এটা সম্পূন্য মিথ্যাচার। আমি এমন এমন কোন ঘটনা আমার নিজ কানে শুনিনি। এদিকে- ২৯ নং ওয়ার্ড ইছাকাঠি এলাকার বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসীন্দাদের সাথে কথা বলে জানাযায়- নূরুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের নেশা-পেশা হলো পান থেকে চুন ঘসলেই মামলা দিয়ে থাকেন। স্থানীয়দের দাবী অনেকেই নুরুল ইসলামের পরিবারকে মামলাবাজ পরিবার হিসেবে চিনে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে ইতিপূর্বে নুরুল ইসলাম খান বিভিন্ন সময়ে তার আস-পাশের বেশ কিছু পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন। এদিকে মামলার বিষয়ে ১নং সাক্ষী নুরুল ইমলাম খান’র কাছে বঙ্গবন্ধুর ছবি কে ছিরেছে ও শহীদ মিনার কে ভেঙ্গেছে ? জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি দেখিনে আমার স্ত্রী রুবিনা ইসলাম দেখেছে।

তখন তাকে প্রশ্ন করা হলো- যে আপনি দেখেননি তো ১নং শাক্ষী হলেন কিভাবে তখন তিনি কোন সদ-উত্তর দিতে পারেনি। তাকে জানতে চাওয়া হলো যে আপনার বাসার কোন যায়গায় বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিলো ? তাও তিনি কোন সদ-উত্তর দিতে পারেনি। এদিকে জানাযায় – কাশীপুরের ইছাকাঠী এলাকার নুরুল হাসান পারভেজ তার প্রতিবেশি নুরুল ইসলাম খান ও তার স্বজনদের অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ২৯ নং ওয়ার্ডের বাসীন্দা নুরুল হাসান পারভেজ অভিযোগে উল্লেখ করেন- প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম খান তাদের বিরুদ্বে মামলা দিয়ে হয়রানী ও প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। তার পিতা মৃত নুরুল করিম ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। চাকুরি থেকে অবসর নেয়ার পর পূর্ব ইছাকাঠিতে জমি কিনে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।

এর পর থেকে নুরুল ইসলাম খানের নজর পরে তাদের জমির উপর। সামান্য কিছু ঘটলেই পারভেজদের পরিবারবর্গকে নানা ধরনের গালিগালাজ ও নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছিলো। এমনকি নুরুল হাসান পারভেজের পিতার মৃত্যুর পর আরো বেপরোয়া হয়ে সিটিকর্পোরেশনের কোন নিয়ম কানুন না মেনেই দালান নির্মান করেন। প্রতিটি জমির সীমানা যেভাবে থাকে এখানে তার ব্যাতিক্রম করে দালান নির্মান করায় সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে দৃর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে পারভেজদের পরিবারের উপর ভিবিন্ন কৌশলে ষড়যন্ত্রের জাল বুনে আসছে নুরুল ইসলাম খান। অভিযোগ রয়েছে ২০১০ সালে নুরুল ইসলাম খানের বাসার ভাড়াটিয়া আসে পাভেজদের বাসার ভাড়াটিয়া হিসেবে।

ওই মহিলাকে দিয়ে পারভেজদের ঘড়ের সবাইকে খাবারের সাথে চেতনা নাশক দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে ঘড়ের সব মালামাল লুট করে নেয় নুরুল ইসলাম। বর্তমানে পরিবারটি দ্রুত এই মামলাবাজ নুরুল ইসলামের কাছ থেকে কাচার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD