উজিরপুরে ফসলি জমিতে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবী Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




উজিরপুরে ফসলি জমিতে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবী

উজিরপুরে ফসলি জমিতে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবী

voiceofbarishal.com




নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালের উজিরপুরের গুঠিয়ায় ফসলি জমিতে পল্লী বিদ্যুতের উপকেন্দ্র নির্মাণ না করতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছে স্থানীয় জমির মালিক, চাষীসহ এলাকাবাসী। পাশাপাশি খালি জমিতে ঘর উত্তেলণ করে লক্ষ লক্ষ আত্মসাতের অভিযোগে বরিশাল বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করা হয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল অর্ধশত জমির মালিক এবং বর্গা চাষী ও এলাকাবাসী এ আবেদন করেন। জানাগেছে, উজিরপুরের গুঠিয়া ইউনিয়নের চাংগুরিয়া মৌজায় বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের পাশে প্রায় ১০ একর জমিতে আমন, বোরোধান ও বিভিন্ন ধরনের সবজি, মাছের চাষ করে জিবীকা নির্বাহ করে অত্র এলাকার বর্গাচাষি ও স্থানীয় জমির মালিকরা।

 

কিন্তু ওই জমিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য স্থানীয় একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে পায়তারা করে ওই স্থানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রর কাছে জমি প্রদান করে টাকা হাতিয়ে চেস্টা চালায়। এ বিষয় জমির মালিকরা প্রথম থেকেই বিরোধীতা করে আসছিল। কয়েক দিন আগে জানতে পারে ওই জমিতে স্থায়ী ভাবে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মিত হবে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে ফসলি জমিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান না করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন জানান। এ বিষয়ে স্থানীয় জমির মালিক গোলাম রসুল, মজিবুর রহমান, আঃ সত্তার মোল্লা, কবির হোসেন, সেলিম হাওলাদার, হালিম সহ এলাকাবাসী জানান- দোফসলী কৃর্ষি জমিতে বিদুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে ইরি বোরো মৌসুমে ধান চাষ ব্যাহত হবে।

আবাদি জমি কমে গেলে জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পরবে। আশেপাশের জমি অনাবাদি হয়ে পড়বে। স্থানীয় একটি চক্র ওই স্থানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে খালি জমিতে একটি ঘর উঠিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে। এছাড়া আরও ফায়দা লোটার জন্য চেস্টা চালাচ্ছে।

এ বিষয় বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করা হলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। এবিষয়ে বরিশাল পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ২ এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ একরামুল ইসলাম ফসলি জমিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের বিষয়ে বলেন- জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জমি অধিগ্রহন করে দেয়। পল্লীবিদ্যুৎ সেই জায়গায় কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান বলেন- বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণে আপত্তি দিয়ে থাকলে বিষয়টি বিবেচনা করে প্রয়োজণীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD