শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০১ পূর্বাহ্ন
উজিপুর প্রতিনিধি॥ ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করতে আসলে রহস্যজনক কারণে পুলিশ বাদির ওপর চাঁপ প্রয়োগ করে মারধরের অপরাধে একটি মামলা গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের এ আচারনে বাদি ও তার স্বজনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জেলার উজিরপুর মডেল থানার।
আজ শুক্রবার সকালে উজিরপুরের গুঠিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা শিউলী বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানায়, তার ছয় বছরের শিশু কন্যাকে গত ২৪ জুন দুপুরে একই এলাকার মান্নান বেপারী বাড়ির সামনে থেকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে পাশ্ববর্তী কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার শিশু কন্যা কান্না শুরু করলে অভিযুক্ত মান্নান তার কন্যাকে প্রথমে গলা টিপে ও পরে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে কলাবাগানের অপরপ্রান্তে কাজ করতে থাকা একই এলাকার রনি খান এগিয়ে আসলে মান্নানকে বিবস্ত্র অবস্থায় শিশুটিকে ঝাপটে ধরে থাকতে দেখেন। একপর্যায়ে অভিযুক্ত মান্নান শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রনি খান সংবাদকর্মীদের কাছে বলেন, ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। আমি ঘটনাস্থলে না পৌঁছলে হয়তো বিষয়টি ধামাচাঁপা দিতে শিশুটিকে অভিযুক্ত মান্নান হত্যা করে ফেলতো।শিউলী বেগম আরও জানান, ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে অভিযুক্ত মান্নানের স্বজনরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য একাধিকবার তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। তাদের হুমকির মুখেও সঠিক বিচার পেতে তিনি (শিউলী) বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা করতে আসেন। এসময় থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে তার ওপর চাঁপ প্রয়োগ করে ধর্ষণ চেষ্টার পরিবর্তে মারধরের অপরাধে একটি মামলা গ্রহণ করেছে।অভিযোগ অস্বীকার করে উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল সাংবাদিকদের বলেন, বাদি যেভাবে অভিযোগ দিয়েছেন সেভাবেই মামলা নেয়া হয়েছে।
Leave a Reply