শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ অপরাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি :পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা মহিপুর থানা ছাত্র লীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে তিন ছাত্রনেতা ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার হোটেল কিং এর সামনে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এসময় আগত পর্যটকদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। স্থানীয়রা আশংকাজনক অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা মো.রাসেল হোসেন (২১), মো.কাওসার (১৮) ও রাকিবুল ইসলাস (১৮) কে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এদের মধ্যে সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই রাতে রাসেল ও কাওসারকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে আহত ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের পিতা মতিউর বাদী হয়ে রহমান মহিপুর থানায় একটি মামলা করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।
আহতদের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন তারা বেশ কয়েক জন বন্ধু মিলে মহিপুর থেকে কুয়াকাটায় যায়। এ সময় ওৎ পেতে থাকা শাহ্ পরান সোহেল ও আরিফ বিল্লা নাসিম সহ ৭/৮ জন আপর ছাত্র লীগ কর্মী তাদের উপর হামলা চালায়। এতে তারা গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ছাত্র লীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। আহত রাসেল পটুয়াখালী সরকারী কলেজের অনার্সের ছাত্র। সে মহিপুর থানা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক ক্যান্ডিডেট। কাওসার মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র। তাদের বাড়ী মহিপুর থানার নজিবপুর গ্রামে বলে জানা গেছে।
মহিপুর ছাত্র লীগ নেতা জাহিদ হাসান জনি জানায়, কোন কিছু বোঝে ওঠার আগেই তাদের উপর হামলা চালায়। তাবে হামলাকারীরা আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে ছিল।
আহত ছাত্র লীগ নেতা মো. রাসেল হোসেনের পিতা মতিউর রহমান জানান, তার ছেলেসহ অপর ছাত্র লীগকর্মীকে ওই রাতে চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক শংকর কুমার পাল জানান, আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে রাসেল ও কাওসারকে বরিশালে রেফার করা হয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, খবর শুনে ওই রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। তবে রাসেল নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছি। ঘটনার সাথে জরিতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Leave a Reply