বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার দুই কেন্দ্রে বিক্ষোভ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এসএসসির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পরীক্ষা শেষে এই ঘটনা ঘটে।
উপজেলার শিবচর নন্দকুমার ইনস্টিটিউশন ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এতে এক শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত গণিত পরীক্ষায় শিবচর নন্দকুমার ভেন্যুর গেট থেকেই শিক্ষার্থীদের ক্যালকুলেটর নিয়ে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। অপর দিকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি কক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ক্যালকুলেটর নিয়ে নেওয়া হয়।এ ঘটনায় মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার উভয় কেন্দ্রে প্রায় ২ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা শেষ করে প্রথমে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিবচর নন্দ কুমার মডেল ইনস্টিটিউশনে ভাংচুর করে। এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুতেও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভাংচুর করে। এতে দুটি বিদ্যালয়ের ভবনের দরজা, জানালা, চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিবচর নন্দ কুমার ইনস্টিটিউটে প্রায় ৩০টি কক্ষ এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা স্কুলে ১০টি কক্ষের দরজা জানালা আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। এ সময় বিভিন্ন কক্ষের সিসি ক্যামেরাও ভেঙে ফেলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ভাংচুর ও তাণ্ডব চলাকালীন সাধারণ শিক্ষার্থীরা দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। গত দিনের উত্তেজনা সত্ত্বেও আজকে পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। ঘটনার কিছুক্ষণ পর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
শিবচর নন্দকুমার ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী কেন্দ্র সচিব মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘এ হামলা পূর্ব পরিকল্পিত। পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে ঢোকার আগেই বলছিল হামলা চালাবে। তা শুনে আমরা পুলিশকে বলি। ৩ দফায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ওরা। আমার স্কুলের অনেক ক্ষতি হয়েছে।শেখ ফজিলাতুন্নেছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকালের ঘটনা আড়াল করতে আজ এই হামলা করা হয়েছে। আমার স্কুলে মাত্র একটি কক্ষে শিক্ষকরা ক্যালকুলেটর নিয়েছিল। একটু পরেই তা দিয়েও দিয়েছিল। আর নন্দকুমার ভেন্যুতে সবার ক্যালকুলেটরই নিয়ে নেওয়া হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘ক্যালকুলেটর নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় তদন্তে অভিযুক্তদের আমরা আজ থেকেই ডিউটি থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। এরপরও আজ ২ স্কুলে হামলা ভাংচুর ঘটলো। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply