বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
আবু সাঈদ লুসান॥ সড়ক পরিবহন আইন কঠোর করার পরও সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামছে না। পরিবহন চালকদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সচেতন হচ্ছে না সাধারণ জনগণও। গত ১৫ দিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৩ জন। দেশের বিভিন্ন জেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এছাড়া পৃথক এসব সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮৯ জন।
এ দিকে, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, সদ্য বিদায় নেওয়া ২০১৯ সালে ৪৭০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫২২৭ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬৯৫৩ জন।
২ ফেব্রুয়ারি
ফেব্রুয়ারির এ দিনে সাভারের আশুলিয়ায় যাত্রীবাহী বাস চাপায় মা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়।
গত ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর এলাকার জাতীয় স্মৃতিসৌধের ৩ নম্বর গেটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কুড়িগ্রামে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই দিনে অটোরিকশার ধাক্কায় মুজাহিদ (৭) নামে এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়। নিহত মুজাহিদ ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা গ্রামের আরিফুল হকের ছেলে।
এ দিকে একই দিনে দ্রুতগামী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মাদারীপুরে মান্নান ব্যাপারী (৩০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছে। নিহত মান্নান সদর উপজেলার খাগদী এলাকার আমজেদ ব্যাপারির ছেলে।
এছাড়া গত ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক কৃষক নিহত ও ১০ বাস যাত্রী আহত হয়। সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া বাজারে এক দুর্ঘটনায় কৃষক নিহত এবং দুপুরে সোনাপাহাড় এলাকায় বাস ও লরির সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ বাসযাত্রী আহত হয়।
দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম দীপক চন্দ্র নাথ (৫০)। সে উপজেলার ১২ নম্বর খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্ব খৈয়াছড়া এলাকার বাসিন্দা।
৩ ফেব্রুয়ারি
বগুড়ায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ তিন জন নিহত হয়। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মোকামতলা বন্দরের চৌকিরঘাট ও শাজাহানপুরে পৃথক স্থানে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- হানজেলা (২৪), এইচএসসি পরীক্ষার্থী রনি (১৮) ও রবিন (২৪)।
অপর দিকে বগুড়ার শাজাহানপুরে ট্রাক চাপায় রবিন (২৪) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়।
এছাড়া ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ওয়াজেদ হাসান জয় (২১) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়।
জানা যায়, উপজেলার পাগলা থানার ত্রিমুহনী-ডাকবাংলো এলাকার একটি সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা লড়িকে দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ওয়াজেদ হাসান জয় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
একই দিনে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আনজু বেগম (২৮) নামে এক গার্মেন্টস কর্মী নিহত হয়।
নিহত আনজু বেগম শ্রীপুর উপজেলার করন্দি গ্রামের মানিক শেখের স্ত্রী।
৪ ফেব্রুয়ারি
ঢাকার নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এনি (২৩) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার বোন সারমিন (১৯) ও উপেন্দ্র সরকার (৭০) নামে এক পথচারী আহত হন।
নিহত এনি শোল্লা ইউনিয়নের কোন্ডা গ্রামের আজিজুলের স্ত্রী এবং নবাবগঞ্জ সদর জেলা পরিষদ মার্কেটে আদিলা তানভির নামে একটি বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী ছিলেন।
অপর দিকে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় ট্রাক চাপায় সাইদুল হক (৪২) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়।
নিহত সাইদুল হকের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানায়। তিনি টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়া একই দিনে সাতক্ষীরার তালায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দ্বীপজয় সাধু (১৮) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে অপর এক মোটরসাইকেল চালক।
নিহত দ্বীপজয় সাধু তালা উপজেলার তৈলকুপি গ্রামের প্রকাশ সাধুর ছেলে ও পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। আহত অপর মোটরসাইকেল চালক উপজেলার শাকদাহ গ্রামের সহিলউদ্দীনের ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ (৫২)।
ঢাকার ধামরাইয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চার শিক্ষার্থীসহ ছয়জন আহত হয়।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো- রাকিব, হৃদয়, লাবনী আক্তার ও মাহমুদা আক্তার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে দুপুর ১২টায় ইজিবাইকের ধাক্কায় মো. রিমন (৯) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।
নিহত রিমন বিশ্বনাথপুর নূরানী মাদরাসার ছাত্র এবং শিবনারায়ণপুর গ্রামের মো. মিঠুনের ছেলে।
একই দিনে পঞ্চগড়ের বোদায় প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে বালিবোঝাই ট্রাক্টরের চাপায় অনুপ চন্দ্র রায় (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়।
নিহত অনুপ চন্দ্র রায় উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের ইউনিয়নের চোপড়ামারি এলাকার সন্তোষ রায়ের ছেলে। সে দুইখাতা নাজির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ দিকে, দ্রুতগামী কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মানিকগঞ্জে বাবা-মেয়ে নিহত হয়। একই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন নিহতের বড় মেয়ে।
নিহতরা হলেন- সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের গোলড়া এলাকার হাজী ফজলুল হকের ছেলে হেদায়াতুল হক (৪৫) ও তার ছোট মেয়ে সারা পারভিন (৪)।
বগুড়ার কাহালুতে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের ১২ মাইল এলাকায় বিদ্যুৎ বিল জমা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় অটোভ্যানের যাত্রী হাজী মজিবর রহমান (৫৮) নিহত হয়।
মজিবর রহমান কাহালুর বীরকেদার ইউনিয়নের ডিপুইল গ্রামের বাসিন্দা।
৫ ফেব্রুয়ারি
ফেব্রুয়ারির মাসের পঞ্চম দিনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান সংঘর্ষে তিনজন প্রাণ হারায়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় একটি ট্রাক অপর একটি ট্রাককে অতিক্রম করতে গিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হয়।
টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় আরমান রায়হান (২৩) নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন।
নিহত পুলিশ সদস্য আরমান রায়হান টাঙ্গাইল পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন। তিনি নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার নারান্দি গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ট্রাক চাপায় এক মহিলাসহ দুইজন নিহত হয়।
এদিন সন্ধ্যায় উপজেলার রহনপুর-আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের সোনাবর কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জাহানারা বেগম (৪০) ও আরশাদ আলী (৩৫)।
৬ ফেব্রুয়ারি
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ভারতীয় পাথর ভর্তি দুটি ট্রাকের মাঝে চাপা পড়ে দুলাল সরকার (৫০) নামে এক বন্দর শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
নিহত দুলাল সরকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের পুলিন সরকারের ছেলে।
একই দিনে যশোরের বেনাপোলে ট্রেনের ধাক্কায় আনিস কাজী নামে এক ট্রাক চালক নিহত ও হেলপার আহত হয়।
কাজী আনিস ট্রাক নিয়ে ভৈরব নদের ব্রিজ এলাকায় যাচ্ছিলেন। ভাঙ্গা গেট রেলক্রসিংয়ে পৌঁছালে বেনাপোল থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর একটি ট্রেন ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকটি দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার খাদে পড়ে যায়। এ সময় কাজী আনিস ও তার হেলপার গুরুতর আহত হয়।
এছাড়া নরসিংদীতে কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় তনয়া ইসলাম (১৯) নামে এক কলেজছাত্রী নিহত হয়।
নিহত তনয়া ইসলাম নরসিংদী সরকারি কলেজের অনার্স (রসায়ন) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার মোরশেদুজ্জামান শেখের মেয়ে।
৭ ফেব্রুয়ারি
কক্সবাজারের চকোরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে চারজন নিহত হয়। এতে আহত গুরুতর আহত হয় আরও ২০ জন।
এদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকোরিয়া উপজেলার বানিয়ার ছড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ ফেব্রুয়ারি
লক্ষ্মীপুরে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আবদুর রহিম (৩৪) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অপর আরোহী মানিক হোসেন (৩০) গুরুতর আহত হয়।
ঘটনার সময় আবদুর রহিম ও মানিক মোটরসাইকেল নিয়ে লাহারকান্দি থেকে মান্দারীর দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সড়কে একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে দুই আরোহী গুরুতর আহত হয়।
পরবর্তীতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুর রহিমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যানের পেছনে এনা পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় চালকসহ দুইজন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও ১০ বাসযাত্রী।
ময়মনসিংহের ভালুকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আব্দুল্লাহ হিল কাফি (৩১) নামে এক যুবক নিহত ও আবু বক্কর সিদ্দিক (২৬) নামে এক যুবক আহত হয়।
৯ ফেব্রুয়ারি
দিনাজপুর সদরের হাউজিং মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় রাকিব হোসেন (২৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়।
নিহত রাকিব চিরিরবন্দর উপজেলার ৯ নম্বর ভিয়াল ইউনিয়নের ভাবকি গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে।
এছাড়া একই দিনে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় এক শিশুর মৃত্যু হয়। শিশুটির নাম বিমল চন্দ্র রায় (১২)।
নিহত শিশু বিমল চন্দ্র রায় উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলগুড়ি এলাকার জয়দেব চন্দ্র রায়ের ছেলে।
১০ ফেব্রুয়ারি
ময়মনসিংহে বন্ধুর মায়ের মরদেহ দেখে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার সময় ট্রাক চাপায় হাফেজ মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ (১৭) নামে এক যু্বক নিহত হয়।
নিহত হাফেজ মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ উপজেলার শেরপুর ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. শামছুল হক ফকিরের ছেলে। সে নান্দাইল ইউনিয়নের পাঁচানী গ্রামের বাসিন্দা।
অপর দিকে নরসিংদীতে দ্রুতগামী একটি সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছে সঙ্গে ধাক্কা লেগে শাহ জাহান সরকার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হন।
নিহত শাহ জাহান সরকার উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের বড় ছেলে।
১১ ফেব্রুয়ারি
সাতক্ষীরায় হানিফ পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় শেখ আব্দুস সাত্তার (৩৫) নামে এক পান ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।
নিহত শেখ আব্দুস সাত্তার কুমিরাতে তার মামার বাড়িতে থাকতেন। তিনি তালা উপজেলার রাড়ীপাড়ার সামছুল শেখের ছেলে।
এ দিকে সড়কে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুনামগঞ্জে মো. রায়হান মিয়া (১৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। একই দুর্ঘটনায় ওই মোটরসাইকেলে আরও দুইজন গুরুতর আহত হন।
নিহত রায়হান মিয়া শরীফপুর গ্রামের মো. আকবর আলীর ছেলে। অপর দিকে আহত সোহাগ মিয়া একই গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে এবং পারভেজ শরীফপুর গ্রামের নজরুল মিয়ার ছেলে।
১২ ফেব্রুয়ারি
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় হাবিব আলী (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।
নিহত হাবিব আলি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলি গ্রামের জমির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।
এ দিন সকাল সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার পৌর এলাকার ছাগল ফার্মের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৩ ফেব্রুয়ারি
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
আহতদের সকলকে দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত অনেকেই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
একই দিনে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের ধাক্কায় যশোরে জিম নামে আট বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়।
নিহত শিশু জিম উপজেলার রামপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে। সে রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
এ দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলায় অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় রবিউল ব্যাপারি (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়।
নিহত রবিউল গৌরনদী পৌর এলাকার গেরাকুল মহল্লার আব্দুল মালেক ব্যাপারির ছেলে। সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই বিভাগের পোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিল।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অজ্ঞাত একটি বাসের ধাক্কায় খোরশেদ আলম (৩১) নামে এক পিকআপ ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়।
নিহত খোরশেদ আলম সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মফিজল হকের ছেলে।
খুলনায় বালুর ট্রাকের চাপায় এনামুল কবির (৫০) নামে এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়। নিহত এনামুল মোক্তার হোসেন সড়কের বাসিন্দা।
এছাড়া লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে রঞ্জিত কুমার (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়।
নিহত রঞ্জিত কুমার উপজেলার উত্তর হলদিবাড়ি গ্রামের পবিত্র কুমারের ছেলে। এ দিন সকালে উপজেলার ডিএস ফিলিং স্টেশনের সামনে বুড়িমারী-ঢাকা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঝিনাইদহের নগর বাথান বাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় আমির হামজা (১৮) নামে এক বাস হেলপার নিহত হয়। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়।
নিহত আমির হামজা সদর উপজেলার লবুতলা গ্রামের আশাদুলের ছেলে।
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে পর্যটকবাহী বাসের চাপায় মাদরাসা ছাত্রী তাসনুর সোলতানা মৌসুমী (৬) নিহত হয়।
নিহত মৌসুমী উপজেলার দক্ষিণ হ্নীলা জাদিমোরা নয়াপাড়ার নুরুল বশরের মেয়ে। সে নয়াপাড়া মাদরাসা রহমানিয়া হোসাইনিয়া নুরানী বিভাগের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ দিনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নবম শ্রেণির দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলো- উপজেলার পুরান তেতরী গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে আরিফ (১৪) ও একই গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে সুমন (১৪)। এরা দুজনেই তালগাছি এস এ মডেল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র।
১৪ ফেব্রুয়ারি
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস-নসিমন সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। নিহতরা হলো- উপজেলার পারুলিয়া এলাকার বদির (৩০), মিজান (৪৩), সিরাজুল (৩৫), লায়েক (৫০) ও সুমন (২৮)।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর মতে, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ফালগুনী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস লিংক রোড থেকে হাইওয়েতে ওঠার সময় একটি শ্রমিকবাহী নসিমনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে মিজান নামে এক শ্রমিক নিহত হন ও ৯ শ্রমিক গুরুতর আহত হন।
ময়মনসিংহে বালুভর্তি ট্রাকের সঙ্গে দ্রুতগামী কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা লেগে বরুণ চন্দ্র দাস (৩২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।
একই দুর্ঘটনায় নিহত ওই কাভার্ড ভ্যানচালকের সহকারী আব্দুল জব্বার (৩০) গুরুতর আহত হন।
নিহত কাভার্ড ভ্যানচালক বরুণ চন্দ্র দাস গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের নির্মল চন্দ্র দাসের ছেলে।
এছাড়া এ দিন রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় এক শিক্ষক নিহত হন।
নিহত মেহেদী হাসান (৩০) ভাটারা থানার কুড়িল ইসলামী ফিকাহ একাডেমির শিক্ষক। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মো. শাহ নেওয়াজের ছেলে।
১৫ ফেব্রুয়ারি
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানসহ তিনজন আহত হন।
আহতরা হলেন- ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, তার গাড়িচালক হেলালুর রহমান ও বডিগার্ড আবদুল বারেক।
অপর দিকে গাজীপুর ন্যাশনাল পার্কের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় কাভার্ড ভ্যানের ২ যাত্রী নিহত হন। প্রাথমিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এ দিন সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ দিকে মাইক্রোবাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে দুইজন নিহত হয়। একই দুর্ঘটনায় আরও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়।
নিহতরা হলো- সিএনজির চালক মো. মোজাফ্ফর (৪৪) ও শান্তি বিকাশ চাকমা (৩৫)।
Leave a Reply