স্কুলের বিজ্ঞানাগার পরিণত হয়েছে কলাপাড়ায় রাতের কোচিং ক্লাস ও ছাত্র-শিক্ষকদের ঘুমানোর খাট Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




স্কুলের বিজ্ঞানাগার পরিণত হয়েছে কলাপাড়ায় রাতের কোচিং ক্লাস ও ছাত্র-শিক্ষকদের ঘুমানোর খাট

স্কুলের বিজ্ঞানাগার পরিণত হয়েছে কলাপাড়ায় রাতের কোচিং ক্লাস ও ছাত্র-শিক্ষকদের ঘুমানোর খাট




কলাপাড়া (কুয়াকাটা) প্রতিনিধি: বিজ্ঞানাগারে চলছে রাতের কোচিং ক্লাস ও বসানো হয়েছে ছাত্র-শিক্ষকদের ঘুমানোর খাট। সাইন্স ল্যাবের মালামাল সুকেচে তালাবদ্ধ বছরের পর বছর ধরে। নষ্ট হয়ে পড়ে আছে কম্পিউটার। বিজ্ঞান শিক্ষকের বসার রুমের ড্রয়ারে তালাবদ্ধ অনুবীক্ষণযন্ত্র ও প্রাকটিক্যাল ক্লাসের কিছু যন্ত্রপাতি। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বেতমোর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র।

 

 

বিদ্যালয়ে গত বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরমপূরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ডের ফি ছাড়াও অংক ও ইংরেজি কোচিং ক্লাসের জন্য ছাত্র প্রতি পাঁচশ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এ টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে প্রধান শিক্ষককের সাথে সহকারী শিক্ষকদের প্রকাশ্যে দ্বন্ধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ কারনে বিদ্যালয়ের লেখাপড়া এখন চরম বিঘিœত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ৯জন শিক্ষার্থী। এদের এখনও কোন প্রাকটিক্যাল ক্লাস হয়নি।

 

নবম শ্রেণিতে দু’একদিন তাদের ক্লাস নেয়া হয়েছে জানালেন শিক্ষার্থী বাসিরুল, মাইনুলসহ অন্যরা। বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, তার কক্ষে সব মালামাল থাকে। আর সাইন্স ল্যাবে এখন কোচিং ক্লাস হয। মালামাল থাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সুকেচে। তবে একটি অনুবীক্ষণ যন্ত্র,কিছু টিউব ছাড়া তিনি আর কিছুই দেখাতে পারেন নি।

 

বিদ্যালয়ের কম্পিউটারটি প্রায় অর্ধ যুগ ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ কারনে কম্পিউটার ও আইসিটি ক্লাস হচ্ছে শুধু কাগজে কলমে। শিক্ষার্থীরা জানালেন, তাদের শুধু পড়া দেয়।

 

 

 

হাতে কলমে কিছুই শেখানো হয়না। কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক মোশারেফ হোসেন জানান, কম্পিউটার নষ্ট, বিদ্যালয়ের একটি জেনারেটর থাকলেও তা চালানো হচ্ছে না। তবে মাঝে মধ্যে তিনি ল্যাপটপে ক্লাস নেন। তবে প্রজেক্টর নেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতালেব সিকদার জানান, প্রায় ২২ বছর আগে সাইন্স ল্যাবের জন্য কিছু মালামাল পেয়েছিলেন।

 

 

কিন্তু এরপর পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞান বিষয়ের প্রাকটিক্যাল ক্লাস করানোর জন্য কিছু মালামাল তাদের কিনতে হয়েছে। আর শিক্ষক সংকট রয়েছে। এ কারনে নিয়মিত প্রাকটিক্যাল ক্লাস হয় না। তবে মালামাল তার রুমে আছে কিন্তু কী কী আছে তার কোন তালিকাও দেখাতে পারেন নি।

 

 

আর বিজ্ঞানাগারে কোচিং ক্লাস ও শিক্ষক-ছাত্রদের ঘুমানোর খাট বসানোর কথা জানতে চাইলে বলেন, ৫জন এখানে রাতে পড়ে,স্কুলেই ঘুমায়। ওরা সবাই পরীক্ষার্থী। শিক্ষকদের সাথে কিছু টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমরা নিজেরা বসে ফয়সালা করে নেবো।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD