শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল:বরিশাল সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ন বরিশাল-ভোলা সহ পাঁচ রুটের চরকাউয়া খেয়াঘাট বাসষ্টান্ড চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার ও মেরামতের অভাবে বাসষ্টান্ডে খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তাটি ছাড়া কোন বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাসষ্টান্ড দিয়ে বাধ্য হয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রা করছে পূর্বাঞ্চলের ৫০ উপজেলার বাসিন্দারা। সব সময় মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকছে হচ্ছে তাদের। তাই সাথে দিন দিন কীর্তনখোলা নদীর ভাঙ্গন হয়েই যাচ্ছে। কিন্তু ব্যাস্ততম এই বাসষ্টান্ড সংস্কারে উদ্যোগ নেই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মনিরুর ইসলাম ছবির তিনি বাসষ্ট্যান্ডের মালিক সিমিতির সভাপতি ।অভিযোগ উঠেছে,শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একাধীক চালক মালিক সমিতি সভাপতির কাছে অভিযোগ করলেও কোন কর্নপাত করেনি মনিরুল ইসলাম ছবি। তবে সুচতুর ছবি সেখান থেকে গাড়ি প্রতি ,প্রতিদিন ২০০ টাকা চাঁদা নিচ্ছে বলে একটি বিশ্বাস্ত সুত্র জানিয়েছে ।
সুত্র বলছে,গাড়ি থেকে চাঁদা নেয়ার টাকা যায় কোথায় ?প্রতিমাসে যে টাকা আসে সেখান থেকে কিছু টাকা ব্যায় করলেই বা ক্ষতি কি ?অন্য দিকে নদী ভাঙ্গনে যে সমস্ত পরিবার সব হারিয়ে ফেলেছে তারা কোনো সুযোগ সুবিধা পাইনি বলে অভিযোগ উঠেছে ।যদিও নিজের আখের গুছাতে ছবি ব্যাস্ত সময় পার করছেন ।এ দিকে সংবাদকর্মী মাঝে বসে উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টুকে অশালীন ভাষায় মন্তব্য করে থাকেন,যা ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এ বিষয় চেয়ারম্যান ছবির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বাসষ্টান্ড সম্পর্ন অন্যর জমিতে তাই এখানে কিছুই করার নেই।অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,চাঁদার টাকা উত্তলন করা হয় ,এ কথা সত্য তবে এসব টাকা শ্রমিকদের বিপদে ব্যায় করতে হয়। তিনি আরো বলেন , মাটির রাস্তায় কাদা ছিটবে এটাই স্বাভাবিক। একাধীক শ্রমিকরা জানান, কোন গাড়ি সড়ক দুর্ঘটনায় কবলে পরলে, এর ক্ষতি পুরন চাকলদের কাছ থেকে নিয়ে থাকেন ।এবং কি কোন চালক মৃত্যু বরন করলে মালিক সমিতির কাউকে খুজেও পায়া যায়না।ঢাকা থেকে বাড়িতে আসা ব্যাবসায়ী বলেন,লঞ্চ থেকে নেমে নৌকা পাড় হয়ে এপারে এসে বাসে উঠলেই বাড়ির সামনে যেতে কোন ধরনের কষ্ট হতো না আগে। কিন্তু বর্তমানে বাসস্টান্ডের প্রায় জায়গাই পুকুরে মত পরিনত হয়েছে। হেটে বাসে উঠতে গেলে কাদা পানিতে পোষাক নষ্ট হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, চরকাউয়া খেয়া ঘাট থেকে ৬ রুটে মিনিবাস চলাচল করে। এছাড়াও রয়েছে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল, রিসক্সা, অটো, ভ্যান, সাইকেল। প্রতিদিন এখান থেকে ৫০ উপজেলার তিন লক্ষ লোক যাতায়াত করে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ন এই বাসষ্টান্ড দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বাসগুলো চলাচলে সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। খানা-খন্দ এখন বড় বড় গর্তে পরিনত হয়ে কাদা পানি সব সময় হাটু সমান থাকায় বাসে যাত্রীদের উঠা নামা করে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে। তার সাথে রয়েছে নদী ভাঙ্গন।
যানবাহন চালকরা কোনভাবে নিয়ন্ত্রন হারালে যাত্রী নিয়ে নদীতে পড়া বা অপর পাশের খাদে পড়ার ঝুঁকি ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। সাধারন যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন বাসষ্টান্ডে খাঁদা খন্দের কারনে যানবাহনে তো দূরের কথা হাটতেও কষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও চরম দুর্ভোগে বৃদ্ধ বয়সী মানুষ ,স্কুলের কলেজের শিক্ষার্থীসহ অসুস্থ রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।
Leave a Reply