সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায়... Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায়…

সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায়…

সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায়...




পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থেকে একেবারেই নিশ্চিহ্নের পথে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পটুয়াখালীর শেষ জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর কাছারিবাড়ি। অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে ইতিহাসের কালেরসাক্ষী এই কাছারি বাড়িটি।

 

 

বেশ কয়েক বছর আগে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক এই ভবনটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলেও পরবর্তীতে তাদের আর কোনো কার্যক্রম দেয়া যায়নি। ইতিহাসের সাক্ষী জমিদারি আমলের এই কাছারিবাড়ি অবিলম্বে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না হলে অস্তিত্ব সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাবে অচিরেই।

 

 

জানা যায়, জমিদারীর কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনে শহরের নতুন বাজার এলাকায় ২৫০ বছর পূর্বে এই কাছারি বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। ২৫০ বছরের প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্য বিজড়িত এই কাছারিবাড়িটি বেশকয়েক বছর ধরে অবেহেলায় নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে শহরের বুকে। যেন কথা বলার কেউ নেই।\

 

 

বছরের পর বছর জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থেকে এখন ভূতের বাড়ির মতো রূপ নিয়েছে পটুয়াখালীর শেষ দাপুটে জমিদার রাজেশ্বর রায়ের এই কাছারি বাড়ি।

 

 

পটুয়াখালীর শেষ জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরীর শেষ স্মৃতিচিহ্ন বিজড়িত জমিদারী আমলের এই ভবন এ অঞ্চলের নানা ইতিহাসের কাল সাক্ষী। সংস্কারের অভাবে দিনে দিনে মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে আমাদের পূর্ব ইতিহাস। বর্তমান প্রজন্মের কাছে অজানাই থেকে যাচ্ছে ইতিহাসের প্রতিটি পৃষ্ঠা।

 

 

শহরের একোয়ার স্টেট নামে পরিচিত এই কাছারি বাড়ি এলাকার একাংশ ক্রমান্বয়ে নানা কৌশলে বেহাত হয়ে গেছে। জমিদারদের স্থাপিত মন্দির পাষাণময়ী কালীবাড়ি স্থানীয়দের দান-অনুদানে সংস্কার করে সেখানে নিয়মিত পূজা-অৰ্চনা চলে আসছে। এই প্রাচীন কাছারি বাড়ির ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ নেয়া

 

 

আবশ্যক বলে মনে করেন পটুয়াখালী প্রেসক্লাব ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স। তিনি বলেন, জমিদারী আমলের এই স্থাপনা যদি এখনো সংস্কারের মধ্য দিয়ে সংরক্ষণ করা না হয় তবে ইতিহাসের কাল সাক্ষী এই কাছারি বাড়ি অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে। অতিদ্রুত জমিদার রাজেশ্বর রায়ের এই কাছারি বাড়িটির সংস্কার করা জরুরী।

 

 

বিলুপ্তির পথে হলেও এখনও এই প্রাচীন স্থাপনায় ইতিহাসপিপাসু বহু মানুষের পদচারনা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে লক্ষ্য করা যায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। বহু শিক্ষার্থী ঘুরতে আসেন জমিদার রাজেশ্বর রায়ের এই কাছারি বাড়িতে। জানতে চায় এর ইতিহাস। তবে বড় পরিতাপের বিষয় সবাইকেই ফিরে যেতে হতাশ হয়ে।

 

 

সিরাজ উদ্দীন আহমেদের লেখা ‘বরিশালের ইতিহাস ও ইয়াকুব আলী সিকদারের প্রবন্ধ’ পটুয়াখালীর অতীত ও বর্তমান থেকে পাওয়া তথ্য ও আরও বেশকিছু তথ্য অনুযায়ী,

 

 

১৮১৭ সালে বরিশালকে পৃথক করে দেওয়ানী শাসন প্রসারের জন্য স্থাপন করা হয় ৪টি মুন্সেফী চৌকি। বাউফল চৌকি স্থানান্তর করা হয় লাউকাঠীতে। ১৮৭১ সালে পটুয়াখালীকে উন্নীত করা হয় মহকুমায়। জমিদার হৃদয় শংকরের পুত্র কালিকা প্রসাদ রায়ের নামানুসারে লাউকাঠীর দক্ষিণ পাড়ের গ্রামের নামকরণ করা হয় কালিকাপুর।

 

 

এখানে গড়ে ওঠে পটুয়াখালী শহর। কলসকাঠির জমিদার বরদা কান্ত রায় চৌধুরীর ছেলে বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরী ১২৯৬ বঙ্গাব্দে পটুয়াখালী মহকুমার অধীন কালিকাপুর কিসমতের বন্দ্যোপাধ্যায় মুদাফা তালুকটি কিনে নেন। এই অঞ্চলের সর্বশেষ জমিদাররা ছিলেন বিশ্বেশ্বর রায় চৌধুরীর ৪ ছেল। তার মধ্যে রাজেশ্বর রায় চৌধুরী পটুয়াখালীর জমিদারী পরিচালনা করেন। প্রবল দাপটের সঙ্গে পটুয়াখালীর শেষ জমিদারি পরিচালনা করেন জমিদার রাজেশ্বর রায় চৌধুরী। পটুয়াখালীতে নির্মাণ করা হয় কাছারিবাড়ি, এখানে তাদের জমিদারীর হাউলিও ছিল।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD