সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ১২৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মাঠ জুড়ে রয়েছে পানি ও কচুরিপানা। বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের সময় মাঠ থেকে মাটি কেটে ভবনের ভিটি উচুঁ করা হলে গর্ত থেকে যায়। ফলে স্কুল মাঠে এখন কচুরিপানায় ভরে গেছে।
করোনাকালীন সময়ে বন্ধ থাকায় বিদ্যালয় খোলার পরে এতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। খেলার মাঠের পুরোটাই দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। সে পানিতে জমে রয়েছে কুচরিপানা। পানির আর কচুরিপানায় বিদ্যালয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিদ্যালয়ের আলাদা কোনো মাঠ না থাকায় খেলাধূলা থেকে বঞ্চিত ওই বিদ্যালয়ের কয়েক শ’ শিক্ষার্থী।
সরেজমিনে বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পশ্চিম পাশের অংশ বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এবং পূর্ব দিকের অংশ বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অংশই পানিতে ডুবে আছে। মাঠ থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জন্ম নিয়েছে কচুরিপানা ও বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস। দেখতে মনে হয় স্কুল মাঠ না যেন গরু, ছাগল ও মহিষের খড়ের ক্ষেত।
বিদ্যালয় সংলগ্ন কামাল হোসেন নামে এক অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়ের সামনে মাঠের জমি আছে। কিন্তু মাটি ভরাট করে উচুঁ না করায় মাঠ কোনো কাজে আসছে না। স্থানীয় লোকজন মাঠ থেকে প্রতিদিন ঘাস কেটে নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের দাবি, বিদ্যালয় মাঠে জমে থাকা পানি নিস্কাশন করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিব জানায়, এমন স্কুলে পড়ি খেলার মাঠ নেই। অবসর সময় খেলতে পারিনা। কবে যে এই স্কুলে খেলার জন্য একটি সুন্দর মাঠ দেখতে পারব জানি না।
বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাবুল হোসেন বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে গত বছর হাইস্কুলের অংশ বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছিল। মাঠের চার পাশে নিচু জমি। ভারীবর্ষণে বালু বিভিন্ন স্থানে নেমে গেছে। শিক্ষার্থীদের খেলা-ধূলার জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মাঠটি।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, এই বিদ্যালয়ে আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ের মাঠের দুরাবস্থা। মাঠ ভরাটের বরাদ্দের জন্য বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে অবশ্যই মাঠটি ভরাট করা হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে এম নজরুল ইসলাম বলেন,বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ফেলে ভরাট করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করা হবে।
Leave a Reply