রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের দেউলী বাজারে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতাপেটা করে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম মো. ছাদেম হাওলাদার। তিনি উপজেলার দেউলী গ্রামের বাসিন্দা।
লাঞ্ছিতকারী কিশোরের নাম মো. ওলী গাজী (১৭)। সে চন্দ্রকান্দা গ্রামের মো. কবির গাজীর পুত্র। অভিযুক্ত উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একজন কর্মী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা ছাদেম হাওলাদার এর বোন ও ওলী গাজীর বাড়ি একই গ্রামে। দুইদিন আগে পারিবারিক বিষয়ে এদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই সুবাদে মো. ছাদেম হাওলাদারের সঙ্গে মো. ওলী গাজীর মধ্যে দেউলী বাজারে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে ওলী গাজী উত্তেজিত হয়ে নিজের পায়ের জুতা খুলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাদেম হাওলাদারকে একাধিকবার আঘাত করে। এসময় ওই কিশোরের সঙ্গে আরও চার থেকে পাঁচজন ছিল বলে জানা যায়। স্থানীয় লোকজন তাদের সংবরণ করে ছাদেম হাওলাদারকে উদ্ধার করেন।
দেউলী বাজারের মেসার্স লুনা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী সৈয়দ রফিকুল আলম বলেন, আমার দোকানের সামনেই মুক্তিযোদ্ধা ছাদেম হাওলাদারের সাথে ওই কিশোরের কথাকাটাকাটি হচ্ছিল। একপর্যায়ে ছেলেটি জুতা দিয়ে তাকে তিন থেকে চারটি আঘাত করে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ছাদেম হাওলাদার এর ওপর এ হামলা ন্যক্কারজনক। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এলাকার লোকজন তাকে সম্মান করে।
দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাকিল জানান, মো. ওলী গাজী ছাত্রলীগের কোনো পদে না থাকলেও সে ছাত্রলীগের কর্মী।
মুক্তিযোদ্ধা মো. ছাদেম হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। অপরদিকে অভিযুক্ত কিশোরের বাড়িতে গেলে দরজা তালাবদ্ধ এবং তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply