বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ অপরাহ্ন
‘সাফল্যের জন্য পুরুস্কৃত হলো মহিপুর থানার এস আই কামাল’
ভয়েস অব বরিশাল ॥
মহিপুর কো-অপ্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আলোচিত মরিয়ম (১৫) কে উদ্ধারের ঘটনায় সাফল্যের জন্য সম্মান সুচক বিশ হাজার টাকা পুরুস্কার পেলো মহিপুর থানার এস আই মোঃ কামাল হোসেন। পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মঈনুল হাসান রোববার বেলা ১টায় এ পুরুস্কারের অর্থ আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেন এস আই কামালের হাতে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কলাপাড়া সার্কেল) মোঃ জালাল উদ্দিন,এ এস পি পটুয়াখালী সদর মোঃ ফারুক হোসেন সহ পটুয়াখালী জেলার সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বৃন্দ। জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর লতাচাপলী ইউনিয়নের কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন বাড়ি থেকে গভীর রাতে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মরিয়ম পালিয়ে যায়। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর ভোরে মরিয়মের মা ঘুম থেকে উঠে বিছানার উপরে দুই টুকরো মাংস,রক্ত মাখা ছুরি,পায়ের নুপুর পরে থাকতে দেখে। বিছানায় ও ঘরের মেঝে রক্ত ছড়ানো ছিটানো।
মরিয়মকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন আলোড়ন সৃষ্টি হয় মরিয়মকে হত্যার পর লাশ ঘুম করা হয়েছে। তবে পুলিশ একটি জবাই করা হাঁস উদ্ধার করে মরিয়মের বাড়ি থেকে। ওই হাঁসের বুকের দুই টুকরো মাংসও লাপাত্তা হয়ে যায়। তখনই পুলিশকে বিষয়টি নিয়ে ভাবিয়ে তোলে। মরিয়মকে খুঁজে পেতে মহিপুর থানা পুলিশসহ বরিশাল বিভাগের প্রশাসনের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। হত্যার পর মরিয়মের লাশ গুম নাটকে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় মরিয়মের মা বাদি হয়ে মহিপুর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয় এস আই কামালকে। গত ৫ অক্টোবর ঢাকার মুগদা এলাকার রানা ফ্যাশন নামের একটি গার্মেন্টস থেকে মরিয়মকে জীবিত উদ্ধার করেন এস আই কামাল হোসেন। অবসান হয় হত্যার পর লাশ ঘুম নাটকের। এমন সাফল্যের জন্য জেলা পুলিশ কর্তৃক পুরুস্কৃত করা এস আই কামালকে।
Leave a Reply